জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কাজী নজরুল ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা ও কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শব্দকলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন শব্দকলা সম্পাদক কবি ও গবেষক অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক। প্রধান আলোচক ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক ড. নাজিব ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন ইতিহাস গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, কবি ও গবেষক ড. ফজলুল হক তুহিন, কবি ও গবেষক ড. সায়ীদ ওয়াকিল, সাংবাদিক ওয়ালিউর রহমান বাবু, কবি আসাদুজ্জামান জুয়েল, কবি ও গবেষক মীম মিজান, কবি মাহাইর ইসলাম প্রমুখ।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানে অনুষ্ঠানটি মুখরিত করেন শিল্পী হুমায়ুন কবির, ইমরান লস্কর, নবাব নাসির, আজহারুল ইসলাম তপু, সাকিব সরকার, বিলাশ চন্দ্র রায়, সিফাত ই রাব্বি, লিমন ঢালী, জাকারিয়া জয়াস, জুলফিকার উল্লাস, কামিল আহমেদ, অনিক মল্লিক, তমাল দাশ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, জীবন সংগ্রামের প্রতীক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। সাগরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ ঢেউকে বুকে ধারণ করে তিনি সমস্ত অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পাহাড়ের শক্তভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তো শুধু ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে নয়, পাকিস্তানের আজাদী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণআন্দোলন এবং চব্বিশের ছত্রিশ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মতো নতুন বিপ্লবে তিনি দারুণভাবে প্রাসঙ্গিক ছিলেন।
তাঁরা আরো বলেন, ছাত্রজনতার কণ্ঠের স্লোগানে পরিণত হয়েছিল তাঁর গান-কবিতা। সত্যিকার অর্থে যতদিন বৈষম্য থাকবে ততদিন তিনি প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নজরুলের পঠন-পাঠন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ‘নজরুল একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।