রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ৩৬তম আন্তঃকলেজ সাঁতার ও ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে এই দুই প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে মতিহার হল ও সৈয়দ আমীর আলী হল। ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতায় সৈয়দ আমীর আলী হলকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল।
আন্তঃকলেজ অ্যাথলেটিক সাব-কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে রাবি শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোসাঃ রোকসানা বেগম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশের বাবা-মায়েরা শরীরচর্চাকে অনেক কম গুরুত্বসহকারে নেয়। ক্লাস ওয়ান থেকে একদম মাস্টার্স পর্যন্ত শরীরচর্চাকে বাধ্যতামূলক করা উচিত। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোনো ছেলেমেয়েই আর অসুস্থ হবেনা এবং তারা আরো শক্তিশালি হবে। তবে আমি উপাচার্যের কাছে একটি দাবি রাখবো সেটি হলো, আমাদের সুমিংপুলে সংস্কার দরকার। চারপাশে ওয়াল এবং দরজার উপর দিয়ে অনেক ছেলেমেয়ে ঢুকে আসে, যা আটকানো সবসময় সম্ভব হয়না। তাই আমাদের পানি মেশিন দরকার। আমি চাই সবাই যাতে নিয়মমাফিক সুইপিংপুলে এসে সাঁতার কাটে, অবৈধ পথে নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান বলেন,এই ধরণের কঠিন খেলা গুলো খেলার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের চর্চার দরকার। এই দীর্ঘ চর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিংপুলটি সারাবছর খোলা রাখার ব্যাবস্থা করা হবে।
সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমি সম্পুর্ণ খেলা উপভোগ করেছি এবং দেখেছি। খেলাটি আসলেও অনেক কষ্টসাধ্য তবে এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমরা আগেও বলেছিলাম এই সুইমিং পুলের জীবন ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা খুব দ্রুত এটা সংস্কার করবো ইনশাআল্লাহ। আমি চায় যে আমাদের ছেলেরা শক্ত-সমর্থ হয়ে গড়ে উঠুক। শুধু লেখা-পড়াতেই না খেলাধুলাতেও ভালো করবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা এই আশা ব্যক্ত করি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহা. মাঈন উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইফতেখারুল আলম মাসউদ সহ বিভিন্ন হল ও বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।