মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

 
চাদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়া এক বাড়িতে ৮জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীর সন্ধান মিলেছে। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের মানবেতর জীবন। বংশগত কারণে তারা এই প্রতিবন্ধীতায় পড়েছেন অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কেউ বংশগত ভাবে তাদের পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগ বাক প্রতিবন্ধী। ঐ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। একারণে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ঐ পরিবারটি। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। তাছাড়া সর্বপ্রথম ঐ পরিবারের ৪ জন বাক প্রতিবন্ধী থাকলেও এখন ঐ পরিবারে বাক প্রতিবন্ধী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এক বাড়িতে একই পরিবারের এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পরিবার পড়েছে বিপাকে।

উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়া বাড়িতে বসবাস করেন আবুল হোসেন (৭০)। তিনি জন্মগত ভাবে বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৫) ও মেয়ে সাহিদা আক্তার(৫২) বাক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং নাতনি তানহা আক্তার (৩) বাক প্রতিবন্ধী। অপর দিকে আবুল হোসেনের মেয়ে কুহিনুর বেগমও (২৮) বাক প্রতিবন্ধী ও তার স্বামী মহিন উদ্দিন (৩৫)শারীরিক প্রতিবন্ধী,মেয়ে নিপা আক্তার (১১) ও ছেলে সিফাত হোসেন (৬) শারীরিক প্রতিবন্ধী। কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৬৮১২০৩৬৬ ও ০১৬৩১৯৮১০০৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লাকী আক্তার বলেন, মেঘদাইর গ্রামে এক বাড়িতে ৮ জন বাক প্রতিবন্ধী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, একই পরিবারের ৮জনকে ভাতাভোগীর আওতায় নেয়া হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের চলাচলের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হুইল চেয়ার দেয়া হবে এবং ইউএনও’র সাথে কথা বলে তাদের পূর্নবাসন ও আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ছবি: কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামে একই পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক

কচুয়ায় একই পরিবারের ৮জন প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবন, চান সহযোগিতা

আপডেট সময় : ০৬:৫০:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 
চাদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুনপাড়া এক বাড়িতে ৮জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধীর সন্ধান মিলেছে। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের মানবেতর জীবন। বংশগত কারণে তারা এই প্রতিবন্ধীতায় পড়েছেন অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কেউ বংশগত ভাবে তাদের পরিবারে জন্ম নেওয়াদের বেশির ভাগ বাক প্রতিবন্ধী। ঐ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের ৮ জন বাক ও দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তারা কেউ কথা বলতে পারেন না। দিন মজুরের কাজ করলেও কথা শুনতে না পারায় এবং কাজের ধরণ বুঝতে না পারায় সচরাচর তাদের কাজও মিলছে না। একারণে প্রতিবন্ধী ভাতার সীমিত টাকার উপর নির্ভর করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করছে ঐ পরিবারটি। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে এসব প্রতিবন্ধীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মানবতার কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। তাছাড়া সর্বপ্রথম ঐ পরিবারের ৪ জন বাক প্রতিবন্ধী থাকলেও এখন ঐ পরিবারে বাক প্রতিবন্ধী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এক বাড়িতে একই পরিবারের এতো সংখ্যক প্রতিবন্ধী নিয়ে পরিবার পড়েছে বিপাকে।

উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের নতুন পাড়া বাড়িতে বসবাস করেন আবুল হোসেন (৭০)। তিনি জন্মগত ভাবে বাক প্রতিবন্ধী। তার ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৫) ও মেয়ে সাহিদা আক্তার(৫২) বাক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং নাতনি তানহা আক্তার (৩) বাক প্রতিবন্ধী। অপর দিকে আবুল হোসেনের মেয়ে কুহিনুর বেগমও (২৮) বাক প্রতিবন্ধী ও তার স্বামী মহিন উদ্দিন (৩৫)শারীরিক প্রতিবন্ধী,মেয়ে নিপা আক্তার (১১) ও ছেলে সিফাত হোসেন (৬) শারীরিক প্রতিবন্ধী। কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৬৮১২০৩৬৬ ও ০১৬৩১৯৮১০০৯ নাম্বারে যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লাকী আক্তার বলেন, মেঘদাইর গ্রামে এক বাড়িতে ৮ জন বাক প্রতিবন্ধী রয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, একই পরিবারের ৮জনকে ভাতাভোগীর আওতায় নেয়া হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের চলাচলের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হুইল চেয়ার দেয়া হবে এবং ইউএনও’র সাথে কথা বলে তাদের পূর্নবাসন ও আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ছবি: কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামে একই পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যরা।