পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকার রোধে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। হরিণ ধরার কাজে ব্যবহৃত নাইলনের জালের ফাঁদ জমা দিলেই মিলবে নগদ পুরস্কার। প্রতি কেজি জালের জন্য দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা।
সম্প্রতি পূর্ব সুন্দরবনে হরিণ শিকারের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। নবনিযুক্ত পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী ৩০ এপ্রিল দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এ ঘোষণা দেন।
বন বিভাগ জানায়, হরিণ শিকারিরা সাধারণত নাইলনের দড়ি দিয়ে বিশেষ ধরনের ফাঁদ তৈরি করে, যা গহীন বনে পেতে রাখা হয়। হরিণ দৌড়ে যাওয়ার সময় এসব ফাঁদে আটকে পড়ে। এই ফাঁদগুলো উদ্ধার করতে জেলে ও মৌয়ালদের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, “জেলে ও মৌয়ালদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ফাঁদ দেখলে সংশ্লিষ্ট বনরক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে তা উদ্ধার করতে হবে।”
ডিএফও রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে সুন্দরবনে চোরাশিকারীদের তৎপরতা বাড়ছে। শিকারিরা ফাঁদ পেতে হরিণ ধরে। গহীন বনে চলাফেরা করার কারণে মৌয়ালদের চোখে এসব ফাঁদ সহজেই পড়তে পারে। তাই ফাঁদ উদ্ধার কার্যক্রমে তাদের উৎসাহিত করতেই কেজিপ্রতি দুই হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে হরিণ শিকার প্রতিরোধে ভালো ফল পাওয়া যাবে।”