মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

ভর্তিচ্ছুদের পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি ছাত্রী সংস্থা

Oplus_16908288

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের প্রথম পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। পরীক্ষার এই ব্যস্ত সময়ে অন্যান্য সংগঠনের মতো ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে একটি সহায়তা বুথ স্থাপন করে ছাত্রী সংস্থার সদস্যরা নানা সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের জন্য স্যালাইন, পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি, যারা আবাসন সমস্যায় পড়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করছে সংগঠনটি।

জানতে চাইলে সংগঠনের এক সদস্য বলেন, আমাদের কাজ তিনটি ধাপে বিভক্ত—প্রথমত দাওয়াত, দ্বিতীয়ত সংগঠন ও প্রশিক্ষণ এবং তৃতীয়ত কল্যাণমূলক ও সমস্যা সমাধানমূলক কার্যক্রম। আমরা অসচ্ছল ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা, আবাসন ব্যবস্থা, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা মানবিক কাজে অংশ নিই। ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা ও হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকি।

আরেক সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার মূল লক্ষ্য হলো ছাত্রী সমাজকে আল্লাহর কুরআন ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়তে সাহায্য করা, তাদের আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে গড়ে তোলা এবং ইসলামের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করা, যাতে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি লাভ করা যায়। ১৯৭৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় ১৮ জন ছাত্রীকে নিয়ে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়, যা এখনো সাফল্যের সাথে চলছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আফরোজ মনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা নারী শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ছেলেদের কাছে সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করি। কিন্তু এখানে আপুরা আছেন বলে আমরা কোনো দ্বিধা ছাড়াই সব কথা বলতে পারছি এবং সাহস পাচ্ছি। রাতে থাকার ব্যবস্থাও আপুরাই করেছেন, তারা আমাদের প্রতি খুব যত্নশীল ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

ভর্তিচ্ছুদের পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি ছাত্রী সংস্থা

আপডেট সময় : ০১:২৩:৪৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের প্রথম পর্যায়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। পরীক্ষার এই ব্যস্ত সময়ে অন্যান্য সংগঠনের মতো ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে একটি সহায়তা বুথ স্থাপন করে ছাত্রী সংস্থার সদস্যরা নানা সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের জন্য স্যালাইন, পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি, যারা আবাসন সমস্যায় পড়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করছে সংগঠনটি।

জানতে চাইলে সংগঠনের এক সদস্য বলেন, আমাদের কাজ তিনটি ধাপে বিভক্ত—প্রথমত দাওয়াত, দ্বিতীয়ত সংগঠন ও প্রশিক্ষণ এবং তৃতীয়ত কল্যাণমূলক ও সমস্যা সমাধানমূলক কার্যক্রম। আমরা অসচ্ছল ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা, আবাসন ব্যবস্থা, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা মানবিক কাজে অংশ নিই। ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা ও হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকি।

আরেক সদস্য বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার মূল লক্ষ্য হলো ছাত্রী সমাজকে আল্লাহর কুরআন ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়তে সাহায্য করা, তাদের আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে গড়ে তোলা এবং ইসলামের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করা, যাতে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি লাভ করা যায়। ১৯৭৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় ১৮ জন ছাত্রীকে নিয়ে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়, যা এখনো সাফল্যের সাথে চলছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আফরোজ মনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা নারী শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ছেলেদের কাছে সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করি। কিন্তু এখানে আপুরা আছেন বলে আমরা কোনো দ্বিধা ছাড়াই সব কথা বলতে পারছি এবং সাহস পাচ্ছি। রাতে থাকার ব্যবস্থাও আপুরাই করেছেন, তারা আমাদের প্রতি খুব যত্নশীল ছিলেন।