শিরোনাম :
Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৬০ বার পড়া হয়েছে

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর চলমান আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা ইনকিলাব মঞ্চ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে পাবিপ্রবির স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা কুয়েট আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং কুয়েট ভিসির বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করেন। তারা বলেন, “দফা এক, দাবি এক—কুয়েট ভিসির পদত্যাগ।”

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোরসালিন ইসলাম বলেন, “কুয়েটের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চাচ্ছেন এবং প্রশাসনিকভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। আমাদের সহপাঠীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলেও তাঁদের ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই এবং তাঁর পদত্যাগ দাবি করি।”

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ইরফান বিন হাবিব বলেন, “ড. মাছুদের নেতৃত্বে কুয়েট প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী মনোভাব প্রদর্শন করছে। ছাত্ররাজনীতির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে বাকিদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পক্ষপাতদুষ্ট নেতৃত্ব আর শিক্ষার্থীদের আস্থাহীন একজন উপাচার্যের কুয়েট ক্যাম্পাসে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর থেকে আন্দোলন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হল বন্ধ, বহিষ্কারসহ একাধিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর চলমান আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা ইনকিলাব মঞ্চ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে পাবিপ্রবির স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা কুয়েট আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং কুয়েট ভিসির বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করেন। তারা বলেন, “দফা এক, দাবি এক—কুয়েট ভিসির পদত্যাগ।”

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোরসালিন ইসলাম বলেন, “কুয়েটের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চাচ্ছেন এবং প্রশাসনিকভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। আমাদের সহপাঠীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলেও তাঁদের ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই এবং তাঁর পদত্যাগ দাবি করি।”

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ইরফান বিন হাবিব বলেন, “ড. মাছুদের নেতৃত্বে কুয়েট প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী মনোভাব প্রদর্শন করছে। ছাত্ররাজনীতির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে বাকিদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পক্ষপাতদুষ্ট নেতৃত্ব আর শিক্ষার্থীদের আস্থাহীন একজন উপাচার্যের কুয়েট ক্যাম্পাসে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর থেকে আন্দোলন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হল বন্ধ, বহিষ্কারসহ একাধিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।