শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর চলমান আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা ইনকিলাব মঞ্চ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে পাবিপ্রবির স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা কুয়েট আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং কুয়েট ভিসির বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করেন। তারা বলেন, “দফা এক, দাবি এক—কুয়েট ভিসির পদত্যাগ।”

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোরসালিন ইসলাম বলেন, “কুয়েটের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চাচ্ছেন এবং প্রশাসনিকভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। আমাদের সহপাঠীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলেও তাঁদের ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই এবং তাঁর পদত্যাগ দাবি করি।”

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ইরফান বিন হাবিব বলেন, “ড. মাছুদের নেতৃত্বে কুয়েট প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী মনোভাব প্রদর্শন করছে। ছাত্ররাজনীতির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে বাকিদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পক্ষপাতদুষ্ট নেতৃত্ব আর শিক্ষার্থীদের আস্থাহীন একজন উপাচার্যের কুয়েট ক্যাম্পাসে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর থেকে আন্দোলন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হল বন্ধ, বহিষ্কারসহ একাধিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:০৩:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর চলমান আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা ইনকিলাব মঞ্চ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে পাবিপ্রবির স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা কুয়েট আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং কুয়েট ভিসির বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করেন। তারা বলেন, “দফা এক, দাবি এক—কুয়েট ভিসির পদত্যাগ।”

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোরসালিন ইসলাম বলেন, “কুয়েটের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চাচ্ছেন এবং প্রশাসনিকভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। আমাদের সহপাঠীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলেও তাঁদের ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা আমরা দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই এবং তাঁর পদত্যাগ দাবি করি।”

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ইরফান বিন হাবিব বলেন, “ড. মাছুদের নেতৃত্বে কুয়েট প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী মনোভাব প্রদর্শন করছে। ছাত্ররাজনীতির নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে বাকিদের দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পক্ষপাতদুষ্ট নেতৃত্ব আর শিক্ষার্থীদের আস্থাহীন একজন উপাচার্যের কুয়েট ক্যাম্পাসে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর পর থেকে আন্দোলন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হল বন্ধ, বহিষ্কারসহ একাধিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। শিক্ষার্থীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।