শিরোনাম :
Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি Logo শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি প্রদান রাবি শিক্ষার্থীদের

বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চলমান বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃষি অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে হওয়া মানববন্ধনে এই ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ‘তুমি কে আমি কে কৃষিবিদ কৃষিবিদ’, ‘মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে করতে হবে’, ‘কৃষিবিদের অধিকার বুঝে দেও বুঝে দেও’, ‘মেধাবীদের যুদ্ধ চলছে চলবে’, ‘মেধাবীদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’ এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে এগ্ৰোনমি এবং এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের বিপক্ষে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছর কঠোর পরিশ্রম করে একটা ডিগ্ৰি অর্জন করি। কিন্তু তারা একটা ডিপ্লোমা কোর্স করেই নিজেদেরকে কৃষিবিদ দাবি করেন। যা আমাদের কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য অপমানজনক।
যদি আমাদের ৫ দফা যদি মানা না হয় তাহলে আমরা ১ দফা দাবি তুলবো।”

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, ডিপ্লোমাধারীদের ৮ দফা দাবি অযৌক্তিক। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এসব দাবি গ্রহণ না করার আহ্বান জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সকল ধরনের বৈষম্য দূর করা। অথচ বিএসসি কৃষিবিদদের সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১০ম গ্রেডে চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

তারা আরও বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে বিএসসি কৃষিবিদরা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উচ্চফলনশীল জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এই জায়গায় যদি
মেধাবীদের মূল্যায়ন করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কৃষিখাত হুমকির মুখে পড়বে।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো:

প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না।

নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত
৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না এবং ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।

১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

কৃষি। কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে “কৃষিবিদ” প্রত্যয় ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর অধীনেই রাখতে হবে।

উল্লেখ্য,এসব দাবি না মানলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেন। এসময় কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব

কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি প্রদান রাবি শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ১২:০৫:০২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চলমান বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃষি অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে হওয়া মানববন্ধনে এই ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় ‘তুমি কে আমি কে কৃষিবিদ কৃষিবিদ’, ‘মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে করতে হবে’, ‘কৃষিবিদের অধিকার বুঝে দেও বুঝে দেও’, ‘মেধাবীদের যুদ্ধ চলছে চলবে’, ‘মেধাবীদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’ এসব স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে এগ্ৰোনমি এবং এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের বিপক্ষে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছর কঠোর পরিশ্রম করে একটা ডিগ্ৰি অর্জন করি। কিন্তু তারা একটা ডিপ্লোমা কোর্স করেই নিজেদেরকে কৃষিবিদ দাবি করেন। যা আমাদের কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য অপমানজনক।
যদি আমাদের ৫ দফা যদি মানা না হয় তাহলে আমরা ১ দফা দাবি তুলবো।”

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, ডিপ্লোমাধারীদের ৮ দফা দাবি অযৌক্তিক। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এসব দাবি গ্রহণ না করার আহ্বান জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সকল ধরনের বৈষম্য দূর করা। অথচ বিএসসি কৃষিবিদদের সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১০ম গ্রেডে চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

তারা আরও বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে বিএসসি কৃষিবিদরা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উচ্চফলনশীল জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এই জায়গায় যদি
মেধাবীদের মূল্যায়ন করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কৃষিখাত হুমকির মুখে পড়বে।

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো:

প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না।

নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত
৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না এবং ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।

১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

কৃষি। কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে “কৃষিবিদ” প্রত্যয় ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর অধীনেই রাখতে হবে।

উল্লেখ্য,এসব দাবি না মানলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেন। এসময় কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।