শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা Logo নারী শিক্ষার্থীদের কটুক্তির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন  Logo তারেক রহমান ও টুকুর খালাসে শিয়ালকোলে মিষ্টি বিতরণ Logo জাবির হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মানহানি, ছাত্রদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত কয়রার জনগণ, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  Logo জবির দু’টি হলের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর Logo সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগের কাজ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য Logo পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ। Logo সাতক্ষীরায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোপা মাসুদসহ গ্রেপ্তার-৩ Logo সিরাজগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কলেজ ছাত্র কারাগারে

গাজায় চিকিৎসকদের হত্যা ভুল বোঝাবুঝি: আইডিএফ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার ঘটনাকে অভিযানসংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২০ এপ্রিল) ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে এর মধ্যেও গাজাজুড়ে দখলদার বাহিনীর হামলা অব্যাহত আছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি।

গত ২৩ মার্চ গাজায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের গাড়ি এবং দমকল বিভাগের একটি বহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হন জাতিসংঘের কর্মীসহ ১৫ জন।

তদন্ত প্রতিবেদন ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তাদের সেনারা ভেবেছিল দ্রুতগতির গাড়িগুলো শত্রু বাহিনীর। বলা হয়, হেডলাইট বন্ধ ছিল, অনুমতি ছাড়া গাড়িগুলো এগিয়ে এসেছিল।

ভিডিও পর্যালোচনার পর আইডিএফ তাদের পূর্বের বিবৃতি সংশোধন করে এবং ভুল স্বীকার করে। এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয় সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডারকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি প্রতিকূল এবং বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে এলাকায় ঘটেছে অভিহিত করা হয়েছে এবং দ্রুতগতিতে যান এগিয়ে আসার পর ঘটনাস্থলে থাকা কমান্ডার তাৎক্ষণিক এবং স্পষ্ট হুমকি অনুভব করেছিলেন।

এ ছাড়া সেখানে যথেষ্ট আলো ছিল না বলেও আইডিএফ দাবি করেছে। তারা বলেছে, অ্যাম্বুলেন্স শনাক্ত করতে পারেনি তারা।

এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তারা হামলায় নিহত চিকিৎসাকর্মী রিফাত রাদওয়ানের মুঠোফোন থেকে সম্পূর্ণ ভিডিওটি উদ্ধার করেছে। আইডিএফ তাকে হত্যা করে ছোট একটি গর্তে কবর দিয়ে দেয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে সম্মুখ বাতি ও জরুরি ফ্লাশলাইট জ্বালিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন চিকিৎসাকর্মীদের ওই দল। এ সময় হাই-ভিউ জ্যাকেট পরে থাকায় কমপক্ষে একজন কর্মীকে হলেও দেখা যাওয়ার কথা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, গাড়িতে থাকা ওই দলটির গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল এবং তারা গাড়ির বাতি নিভিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু রিফাত রাদওয়ানের করা ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সেনাবাহিনী তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করে স্বীকার করেছে যে তাদের দাবি ভুল ছিল।

১৫ জন নিহত কর্মীর মৃতদেহ বালিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়নি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ওই এলাকায় নিরাপদে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারেনি বা ঘটনাস্থল সনাক্ত করতে পারেনি।

রেড ক্রিসেন্ট এবং আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা

গাজায় চিকিৎসকদের হত্যা ভুল বোঝাবুঝি: আইডিএফ

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার ঘটনাকে অভিযানসংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২০ এপ্রিল) ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে এর মধ্যেও গাজাজুড়ে দখলদার বাহিনীর হামলা অব্যাহত আছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি।

গত ২৩ মার্চ গাজায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের গাড়ি এবং দমকল বিভাগের একটি বহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হন জাতিসংঘের কর্মীসহ ১৫ জন।

তদন্ত প্রতিবেদন ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তাদের সেনারা ভেবেছিল দ্রুতগতির গাড়িগুলো শত্রু বাহিনীর। বলা হয়, হেডলাইট বন্ধ ছিল, অনুমতি ছাড়া গাড়িগুলো এগিয়ে এসেছিল।

ভিডিও পর্যালোচনার পর আইডিএফ তাদের পূর্বের বিবৃতি সংশোধন করে এবং ভুল স্বীকার করে। এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয় সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডারকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি প্রতিকূল এবং বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে এলাকায় ঘটেছে অভিহিত করা হয়েছে এবং দ্রুতগতিতে যান এগিয়ে আসার পর ঘটনাস্থলে থাকা কমান্ডার তাৎক্ষণিক এবং স্পষ্ট হুমকি অনুভব করেছিলেন।

এ ছাড়া সেখানে যথেষ্ট আলো ছিল না বলেও আইডিএফ দাবি করেছে। তারা বলেছে, অ্যাম্বুলেন্স শনাক্ত করতে পারেনি তারা।

এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তারা হামলায় নিহত চিকিৎসাকর্মী রিফাত রাদওয়ানের মুঠোফোন থেকে সম্পূর্ণ ভিডিওটি উদ্ধার করেছে। আইডিএফ তাকে হত্যা করে ছোট একটি গর্তে কবর দিয়ে দেয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে সম্মুখ বাতি ও জরুরি ফ্লাশলাইট জ্বালিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন চিকিৎসাকর্মীদের ওই দল। এ সময় হাই-ভিউ জ্যাকেট পরে থাকায় কমপক্ষে একজন কর্মীকে হলেও দেখা যাওয়ার কথা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, গাড়িতে থাকা ওই দলটির গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল এবং তারা গাড়ির বাতি নিভিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু রিফাত রাদওয়ানের করা ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর সেনাবাহিনী তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করে স্বীকার করেছে যে তাদের দাবি ভুল ছিল।

১৫ জন নিহত কর্মীর মৃতদেহ বালিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়নি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ওই এলাকায় নিরাপদে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারেনি বা ঘটনাস্থল সনাক্ত করতে পারেনি।

রেড ক্রিসেন্ট এবং আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।