শিরোনাম :
Logo রাবিতে ‘এমপাওয়ারিং ইয়ুথ ফর ইকোনোমিক রেভ্যুলেশন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার Logo গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo জুলাই শহীদদের স্মরণে ঝিনাইদহে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ Logo আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৫ অক্টোবর Logo বিষাক্ত মদ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যুর Logo কারফিউ শেষে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা Logo বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে টেক্সটাইল শিক্ষার্থীর মৃত্যু Logo ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo আবারও মুজিববাদী-ভারতপন্থি শক্তি সক্রিয় হচ্ছে : সারজিস আলম

এবার মার্কিন পণ্যে পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ চীনের

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও বুধবার (৯ এপ্রিল) চীনের পণ্যে উল্টো শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপানো শুল্কের বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সব মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে বেইজিং।

দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হবে নতুন এই শুল্কহার।

ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক দফায় মোট ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীনা পণ্যের ওপর। প্রথম মেয়াদের ট্রাম্প প্রশাসন ও বাইডেন প্রশাসনও বিভিন্ন চীনা পণ্যের ওপর বিভিন্ন মাত্রার শুল্ক আরোপ করেছে। তবে বেইজিং জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের আগ্রাসী শুল্কের জবাবে আর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে না তারা।

কিন্তু শুক্রবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের অধীনস্থ কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন এক বিবৃতিতে বলে, ‘এই শুল্কহারে চীনা বাজারে মার্কিন পণ্যের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এরপর যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরও শুল্ক আরোপ করলে চীন তা পুরোপুরি উপেক্ষা করবে।’

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, বেইজিং তার স্বার্থ, বৈধ অধিকারের জন্য লড়াই করে যাবে। এবং বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা অটুট রাখবে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের এভাবে শুল্ক আরোপ করাটা একতরফা দমন ও জবরদস্তিমূলক আচরণের উদাহরণ। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের লঙ্ঘন ও বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে তার তুলনায়, চীন থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের বাণিজ্য পণ্য আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন আমদানি করেছে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য।

এর ফলে ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৯৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার)। এই ঘাটতি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এর পরিমাণ মার্কিন অর্থনীতির প্রায় এক শতাংশের সমান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ‘এমপাওয়ারিং ইয়ুথ ফর ইকোনোমিক রেভ্যুলেশন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার

এবার মার্কিন পণ্যে পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ চীনের

আপডেট সময় : ০৩:৫০:২৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও বুধবার (৯ এপ্রিল) চীনের পণ্যে উল্টো শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপানো শুল্কের বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সব মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে বেইজিং।

দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকেই কার্যকর হবে নতুন এই শুল্কহার।

ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক দফায় মোট ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীনা পণ্যের ওপর। প্রথম মেয়াদের ট্রাম্প প্রশাসন ও বাইডেন প্রশাসনও বিভিন্ন চীনা পণ্যের ওপর বিভিন্ন মাত্রার শুল্ক আরোপ করেছে। তবে বেইজিং জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের আগ্রাসী শুল্কের জবাবে আর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে না তারা।

কিন্তু শুক্রবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের অধীনস্থ কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন এক বিবৃতিতে বলে, ‘এই শুল্কহারে চীনা বাজারে মার্কিন পণ্যের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। এরপর যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরও শুল্ক আরোপ করলে চীন তা পুরোপুরি উপেক্ষা করবে।’

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, বেইজিং তার স্বার্থ, বৈধ অধিকারের জন্য লড়াই করে যাবে। এবং বহুপক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা অটুট রাখবে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের এভাবে শুল্ক আরোপ করাটা একতরফা দমন ও জবরদস্তিমূলক আচরণের উদাহরণ। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের লঙ্ঘন ও বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে তার তুলনায়, চীন থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের বাণিজ্য পণ্য আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন আমদানি করেছে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য।

এর ফলে ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৯৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার)। এই ঘাটতি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এর পরিমাণ মার্কিন অর্থনীতির প্রায় এক শতাংশের সমান।