শিরোনাম :
Logo আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন Logo মেধাভিত্তিক নিয়োগ হলে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই দেশের সম্পদ হবে : আসিফ মাহমুদ Logo অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হাঙরের আক্রমণে নিহত ১ Logo দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ডাকেটকে বিশ্রাম দিয়েছে ইংল্যান্ড Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন এখন অনেক সক্রিয় : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ Logo সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo ইবিতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo সুন্দরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার Logo চাঁদপুর টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময়

৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় বৈঠক আজ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:৫০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

সংস্থাটির গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী আজ রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

এরপর আগামী ১৭ এপ্রিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে।

এবারের বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মূল্যায়ন করা হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইএমএফের শর্ত পূরণের বিষয়টি।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইএমএফের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো পর্যালোচনা করবে সফররত প্রতিনিধিদলটি।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি করে। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ।

মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনো বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। যার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় আর জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার। আর এ জন্য আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিকাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায় কর্মসূচীর উদ্বোধন

৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় বৈঠক আজ

আপডেট সময় : ১০:০৮:৫০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
দেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৪৭০ কোটি ডলার চলমান ঋণের শর্ত পর্যালোচনায় এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

সংস্থাটির গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী আজ রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

এরপর আগামী ১৭ এপ্রিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে।

এবারের বৈঠকে আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মূল্যায়ন করা হবে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আইএমএফের শর্ত পূরণের বিষয়টি।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আইএমএফের নীতির সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো পর্যালোচনা করবে সফররত প্রতিনিধিদলটি।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি করে। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ।

মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনো বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। যার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় আর জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার। আর এ জন্য আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে, যেটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।