জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছে শেরপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নেন তারা। এরপর একটি মিছিল বের করে ইন্সটিটিউট ক্যাম্পাস থেকে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সাথের সাত দফা দাবিগুলো হলো:
১। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০% প্রমোশন দেয়া হাইকোর্টের রায় অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নাম পরিবর্তন করে ল্যাব সহকারী। ল্যাব এ্যাসিস্ট্যান্ট। কারখানা সহকারী। ওয়ার্কসপ খালাশী অথবা অন্য কোন নামে নামকরণ করতে হবে।
৩। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা পূর্বের ন্যায় এইচএসসি (ভোকেশনাল) করতে হবে।
৪। ২০২১ সালের অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল নন-টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
৫। শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে, টেকনিক্যাল পদে নন-টেকনিক্যাল লোক নিয়োগ দিতে পারবে না।
৬। প্রতিটি পলিটেকনিক এবং টিএসসির অধ্যক্ষ মহোদ্বয়গণ প্রশাসনিক কাউন্সিলের মাধ্যমে এই রায়ের বিপক্ষে রেজুলেশন দিতে হবে এবং সেই সাথে শিক্ষক সংগঠনগুলোকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
৭। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না এবং সকল প্রকার ক্লাস ও পরিক্ষা বর্জন থাকবে।
এসময় আন্দোলনকারীরা জানান তাদের দাবি না মানা হলে রাজপথ ছাড়বে না।