শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা Logo চাঁদপুর শহরের লেক থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার Logo বিজেপি’র (চাঁদপুর-৩ আসনে) এমপি প্রার্থী টকশো ব্যক্তিত্ব উপাধ্যক্ষ নূরুজ্জামান হীরা Logo সারাদেশে কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল

রান্নাঘরে যেসব জিনিস ব্যবহারে হতে পারে ক্যান্সার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১০:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে
আমাদের বাড়ির রান্নাঘর হল হৃদয়। এখানেই রয়েছে বাড়ির সদস্যদের খুশি করার চাবিকাঠি। এই  রান্নাঘরেই তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। খুশি থাকতে এর চেয়ে ভালো বিকল্প আর কী আছে বলুন! রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, রান্নাঘরেই থাকে এমন কিছু ভয়ঙ্কর রান্নার উপাদান এবং জিনিস, যেগুলি ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

চিকিৎসকদের মতে, রান্নাঘরে কিছু খাবার ও বাসনপত্র আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব বিষয় সম্পর্কে—

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের অতিরিক্ত ব্যবহার

আমরা অনেকেই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করি। এতে খাবার মুড়িয়ে রাখলে তা গরম থাকে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার গরম অবস্থায় রাখায় অ্যালুমিনিয়ামের কণা খাবারে মিশে যেতে পারে, যা শরীরে জমা হতে পারে। আর এর থেকেই মস্তিষ্কের রোগ ও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এটি কম ব্যবহার করুন।

 প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান

প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখলে, বিশেষ করে রোদে বা গরমে, তাহলে প্লাস্টিকের রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে যেতে পারে।

যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ জন্য স্টিল বা তামার বোতল ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ভাজা বা পোড়া খাবার

খুব বেশি পোড়া বা ভাজা খাবার খেলে এটি অ্যাক্রিলামাইড নামক একটি রাসায়নিক তৈরি করতে পারে। যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পোড়া রুটি, ভাজা আলু- এ ধরনের খাবার। এ জন্য পোড়া রুটি এড়িয়ে চলুন।
পুরনো বা নষ্ট মসলা

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মসলা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু পুরনো মসলা ছত্রাক তৈরি করতে পারে, যা লিভার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই মসলা বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করবেন না এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে থাকুন।

প্লাস্টিকের পাত্র

প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখা এবং মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্লাস্টিকে থাকা বিপিএ এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ খাবারে মিশে যেতে পারে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার

প্রতিদিন রেড মিট, সসেজ, বেকন বা প্যাকেটজাত খাবার খেলে পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এগুলোতে প্রিজারভেটিভ ও সোডিয়াম নাইট্রেটের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

নন-স্টিক রান্নার পাত্রের ব্যবহার

নন-স্টিক প্যান ও কড়াই ব্যবহার করলে মনে রাখতে হবে ওপরের স্তর যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আঁচড় লাগলে এটি বিষাক্ত উপাদান নির্গত করতে পারে। এগুলোতে পিএফওএ নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

এই বিপদগুলো কিভাবে এড়াবেন

**কাচ বা স্টিলের বাসনপত্র ও বোতল ব্যবহার করুন।
**টাটকা খাবার খান, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
**কম তেল ও কম পোড়া খাবার খান।
**নন-স্টিক পাত্রের পরিবর্তে লোহা বা মাটির পাত্র ব্যবহার করুন।
**মসলা ও খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা

রান্নাঘরে যেসব জিনিস ব্যবহারে হতে পারে ক্যান্সার

আপডেট সময় : ০২:১০:২৩ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
আমাদের বাড়ির রান্নাঘর হল হৃদয়। এখানেই রয়েছে বাড়ির সদস্যদের খুশি করার চাবিকাঠি। এই  রান্নাঘরেই তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। খুশি থাকতে এর চেয়ে ভালো বিকল্প আর কী আছে বলুন! রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, রান্নাঘরেই থাকে এমন কিছু ভয়ঙ্কর রান্নার উপাদান এবং জিনিস, যেগুলি ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

চিকিৎসকদের মতে, রান্নাঘরে কিছু খাবার ও বাসনপত্র আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব বিষয় সম্পর্কে—

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের অতিরিক্ত ব্যবহার

আমরা অনেকেই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করি। এতে খাবার মুড়িয়ে রাখলে তা গরম থাকে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার গরম অবস্থায় রাখায় অ্যালুমিনিয়ামের কণা খাবারে মিশে যেতে পারে, যা শরীরে জমা হতে পারে। আর এর থেকেই মস্তিষ্কের রোগ ও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এটি কম ব্যবহার করুন।

 প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান

প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখলে, বিশেষ করে রোদে বা গরমে, তাহলে প্লাস্টিকের রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে যেতে পারে।

যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ জন্য স্টিল বা তামার বোতল ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ভাজা বা পোড়া খাবার

খুব বেশি পোড়া বা ভাজা খাবার খেলে এটি অ্যাক্রিলামাইড নামক একটি রাসায়নিক তৈরি করতে পারে। যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পোড়া রুটি, ভাজা আলু- এ ধরনের খাবার। এ জন্য পোড়া রুটি এড়িয়ে চলুন।
পুরনো বা নষ্ট মসলা

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মসলা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু পুরনো মসলা ছত্রাক তৈরি করতে পারে, যা লিভার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই মসলা বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করবেন না এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে থাকুন।

প্লাস্টিকের পাত্র

প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার রাখা এবং মাইক্রোওয়েভে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্লাস্টিকে থাকা বিপিএ এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ খাবারে মিশে যেতে পারে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার

প্রতিদিন রেড মিট, সসেজ, বেকন বা প্যাকেটজাত খাবার খেলে পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এগুলোতে প্রিজারভেটিভ ও সোডিয়াম নাইট্রেটের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

নন-স্টিক রান্নার পাত্রের ব্যবহার

নন-স্টিক প্যান ও কড়াই ব্যবহার করলে মনে রাখতে হবে ওপরের স্তর যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আঁচড় লাগলে এটি বিষাক্ত উপাদান নির্গত করতে পারে। এগুলোতে পিএফওএ নামক একটি রাসায়নিক থাকে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

এই বিপদগুলো কিভাবে এড়াবেন

**কাচ বা স্টিলের বাসনপত্র ও বোতল ব্যবহার করুন।
**টাটকা খাবার খান, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
**কম তেল ও কম পোড়া খাবার খান।
**নন-স্টিক পাত্রের পরিবর্তে লোহা বা মাটির পাত্র ব্যবহার করুন।
**মসলা ও খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন।