শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবের চার প্রস্তাব !

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় শুক্রবার চারটি প্রস্তাব পেশ করেছেন।
তার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের অনুমোদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির নিরস্ত্র পর্যবেক্ষণকারীর পাশাপাশি ওই এলাকায় সেনা অথবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গাজায় সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন আকারে প্রস্তাবনাটি পেশ করা হয়।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গাজায় মার্চ মাস থেকে ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে ১৭১ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়পক্ষের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
ইসরাইল এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে কিনা সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চৌদ্দ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গুতেরেস যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে-
পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর দেয়ার জন্য মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় জাতিসংঘের জোরালো উপস্থিতি।
ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর কল্যান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা ব্যাপকভাবে বাড়ানো।
একটি বেসামরিক পর্যবেক্ষণ মিশন গঠন করা। এই মিশনের সদস্যরা চেকপয়েন্ট ও ইসরাইলী বসতির মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলোর কাছে অবস্থান করবে।
সর্বশেষ প্রস্তাবে জাতিসংঘের অনুমোদনক্রমে ফিলিস্তিনী বেসামরিক মানুষদের রক্ষায় সেনা বা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গুতেরেসের এই প্রস্তাবনা পাশ করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। ইসরাইল এর বিরোধীতা করলে যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেট দিতে পারে।
১৯৯৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর ছোট একটি প্রতিনিধি দলকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পশ্চিম তীরের হেবরন নগরীতে মোতায়ন করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে ইসরাইল ওই সব স্পর্শকাতর স্থানে আন্তর্জাতিক পর্যবক্ষেণকারীদের মোতায়েনের প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
প্রতিবেদনটিতে গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় ইতোমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয়।
জুন মাসে সাধারণ পরিষদ বৈঠকের প্রস্তাবনায় সেখানকার পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবের চার প্রস্তাব !

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় শুক্রবার চারটি প্রস্তাব পেশ করেছেন।
তার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের অনুমোদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির নিরস্ত্র পর্যবেক্ষণকারীর পাশাপাশি ওই এলাকায় সেনা অথবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গাজায় সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন আকারে প্রস্তাবনাটি পেশ করা হয়।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গাজায় মার্চ মাস থেকে ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে ১৭১ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়পক্ষের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
ইসরাইল এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে কিনা সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চৌদ্দ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গুতেরেস যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে-
পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর দেয়ার জন্য মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় জাতিসংঘের জোরালো উপস্থিতি।
ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর কল্যান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা ব্যাপকভাবে বাড়ানো।
একটি বেসামরিক পর্যবেক্ষণ মিশন গঠন করা। এই মিশনের সদস্যরা চেকপয়েন্ট ও ইসরাইলী বসতির মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলোর কাছে অবস্থান করবে।
সর্বশেষ প্রস্তাবে জাতিসংঘের অনুমোদনক্রমে ফিলিস্তিনী বেসামরিক মানুষদের রক্ষায় সেনা বা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গুতেরেসের এই প্রস্তাবনা পাশ করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। ইসরাইল এর বিরোধীতা করলে যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেট দিতে পারে।
১৯৯৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর ছোট একটি প্রতিনিধি দলকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পশ্চিম তীরের হেবরন নগরীতে মোতায়ন করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে ইসরাইল ওই সব স্পর্শকাতর স্থানে আন্তর্জাতিক পর্যবক্ষেণকারীদের মোতায়েনের প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
প্রতিবেদনটিতে গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় ইতোমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয়।
জুন মাসে সাধারণ পরিষদ বৈঠকের প্রস্তাবনায় সেখানকার পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।