ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ড. নীনাসহ ১৬ উপদেষ্টার পদত্যাগ !

0
34

নিউজ ডেস্ক:

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এশিয়ান-আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিশনের আরও ১০ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মূলত অভিবাসন, শরণার্থী ও সাত মুসলিম দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ ট্রাম্পের নেয়া বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।

পদত্যাগের বিষয়টি বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন তারা। গত ২০ জানুয়ারিতে ট্রাম্পের শপথের দিনেই কমিশনের অন্যতম উপদেষ্টা বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. নীনা আহমেদসহ ৬ জন পদত্যাগ করেন। অবশিষ্ট চার উপদেষ্টা এখনো পদত্যাগ করেননি।

ড. নীনা আহমেদ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনী প্রচার-সমাবেশ ও টিভি বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী এবং মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য আমাকে বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়েছিল। তার প্রতিটি বক্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, আদর্শ আর মূল্যবোধের পরিপন্থি। এজন্য ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিনই আমরা ওই সিদ্ধান্ত নিই।

ড. নীনা অপর ১০ জনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিলম্বে হলেও তাদের বোধোদয় ঘটেছে। তারাও সরে এসেছেন ট্রাম্পের গণবিরোধী-অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে কমিশনের প্রধান টাং টি নিগুয়েন এবং ভাইস চেয়ার মেরি ওকাডাও রয়েছেন। অপর কমিশনাররা হলেন মাইকেল বাইয়ুম, ক্যাথি কো চিন, জ্যাকব ফিটিসীমানো জুনিয়র, দাফনী কাউক, ডি জে মেইলার, মলিক পাঞ্চলী, লিন্ডা ফ্যান, সঞ্জিতা প্রধান। এই উপদেষ্টার সকলেই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কর্তৃক নিযুক্ত হয়েছিলেন।

পদত্যাগ পত্রে তারা লিখেন, অভিবাসী, শরণার্থী ও সাত মুসলিম দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ এবং ওবামা কেয়ার বাতিলে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃঢ় মনোভাব পুরোপুরি কমিশনের নিয়মনীতির বিরুদ্ধে।

ট্রাম্পকে লেখা ওই পত্রে আরও বলা হয়, আপনার (ট্রাম্প) প্রশাসনের প্রত্যেক সদস্যকে আমেরিকান নাগরিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সবার কাছে কেন্দ্রীয় সরকারে যাওয়ার সুযোগ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, গত মাসের ১৩ তারিখে এশিয়ান-আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের সম্প্রদায়সমূহের ইস্যুটি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টকে একটি পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এর কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

১৯৯৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে গঠিত হয় এই কমিশন। এর পর প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামার আমলে তা পুনর্গঠিত হয়। এ্ই কমিশনে ড. নীনা আহমেদ ছিলেন ওবামা প্রশাসনে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার বাংলাদেশি-আমেরিকান। এ পদে অধিষ্ঠিত থাকাবস্থায় ড. নীনাকে ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র নিযুক্ত করা হয়।