1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
ঝকঝকে দেশের গল্প! | Nilkontho
২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | শুক্রবার | ৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র-নগদ টাকাসহ আলোচিত রুপা খাতুন গ্রেফতার মেঘনায় ইলিশ ধরায় ৯ জেলের বিনাশ্রম কারাদন্ড কৃষকের মাছ ধরার ফাঁদে অজগর, বনে অবমুক্ত নিলামে উঠতে যাচ্ছে আওয়ামী এমপি-মন্ত্রীদের ১৮ বিলাসী গাড়ি আওয়ামী লীগ নিয়ে কঠোর অবস্থানে অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাইব্যুনালে আরো পাঁচ প্রসিকিউটর নিয়োগ মহাকাশে ভেঙে পড়ল বোয়িংয়ের স্যাটেলাইট কমেছে সবজির দাম, মাছ-মুরগির বাজার চড়া ৭০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে হিজবুল্লাহ সাবেক এমপি মোস্তাফিজকে দুদকে তলব ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আন্তর্জাতিক পোলিও দিবসে রোটারি র‌্যালির আয়োজন নারী সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় দানা এসবি প্রধান হলেন রফিকুল ইসলাম শেখ হাসিনা দিল্লির লুটিয়েনস বাংলোয় আছেন : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ৬ মাসের মধ্যে ফিটনেসবিহীন সব মোটরযান অপসারণের তাগিদ মুসলিম সভ্যতায় পারস্যের উপহার জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৪ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে দানা

ঝকঝকে দেশের গল্প!

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে তিন ঘণ্টায় মালয়েশিয়া। তখন সন্ধ্যা। পাঁচ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি। মধ্যরাতে আরেকটি বিমানে চড়ে জাপানের পথে উড়লাম। সৌভাগ্যবশত আসনটি জানালার পাশে। বিমানবালাদের দেওয়া ছোট কম্বলটি জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। ভোরে ঘুম-ঘুম চোখে একটা বিশাল লাল গোলক চোখে কিরণ ফেলল। চারদিকে সোনালি রঙের ছটা। শুভ্র মেঘের ভেতর থেকে ওই দৃশ্য এক কল্পলোকের ছবি। সূর্যোদয়ের দেশে প্রথম সূর্য দেখে শিহরিত হলাম। নিচে সমুদ্রে ভাসমান জাহাজ ছোট্ট একটি বিন্দুর মতো। আস্তে আস্তে বিমানটি নামছে। যেন পানিতেই পড়বে। একজন যাত্রী জানালেন, এটি কানসাই বিমানবন্দর, সমুদ্রের মাঝখানে অবস্থিত।

সকালে অবতরণ করা বিমান থেকে নেমে শাটল ট্রেনে পেঁৗছলাম ইমিগ্রেশন কাউন্টারে। আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন বাঙালি। একে একে সবাইকে বিদায় দিয়ে আমার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক সাইফুল ভাইয়ের গন্তব্য ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাকে আগেই রুট বলে দেওয়া ছিল। তবে সাইফুল ভাইয়ের একজন ল্যাবমেট তাকে নিতে আসায় এক গাড়িতেই যাত্রা।

পাহাড় ডিঙিয়ে, লোকালয় পেরিয়ে ছুটছি। রাস্তাগুলো দেখে মনে হচ্ছিল আজ সকালেই তা উদ্বোধন করা হয়েছে। আমরাই সেই রাস্তার প্রথম যাত্রী। রাস্তায় কোনো ময়লা, এমনকি এক টুকরো কাগজ পর্যন্ত নেই। প্রায় দেড় ঘণ্টা গাড়ি চলার পথ একই রকম পরিষ্কার। আমাদের দেশে প্রতি কদমে, কাগজের ঠোঙা কিংবা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ। আমরা তো অবাক হবোই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পেঁৗছে ল্যাবমেটদের সঙ্গে দেখা করে তারপর ডরমিটরিতে। টুকটাক গোছগাছ করে ক্লান্তিতে বিছানায়। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে আমি আর সাইফুল ভাই বের হলাম কিছু কেনাকাটায়। দেশটিতে অধিকাংশ নিত্যসামগ্রীর দোকান বলতে সুপার শপকে বোঝায়। ডরমিটরি থেকে প্রায় ১০ মিনিট হাঁটার পর পেলাম একটি সুপার শপ। কেনাকাটার পর একটি স্ন্যাকসের প্যাকেট হাতে রেখে অন্যগুলোকে পলিথিন ব্যাগে ভরলাম।

আমরা দু’জন যখন হাঁটছি তখন পেছনে এক ষাটোর্ধ্ব জাপানি। আমরা স্ন্যাকস খেয়ে সদ্য দেখা জাপানের কথা ভুল গিয়ে প্যাকেটটি রাস্তায় ফেলে দিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর পেছনে ঘুরে দেখি স্ন্যাকসের খালি প্যাকেটটি জাপানির হাতে!

তৃতীয় দিন একইভাবে অন্য একটি সুপার শপে কেনাকাটা শেষে ফিরছিলাম। কোমল পানীয় পান করে বোতলটি রাস্তার পাশে ফেলে দিতেই এক জাপানির বাধার মুখে পড়লাম। তার কথা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। দেখি খালি বোতলটি তার হাতে। বলছেন, ‘আবু নাই আবু নাই।’ পরে বুঝেছি কথাটা হচ্ছে ‘বিপজ্জনক, বিপজ্জনক।’ ততক্ষণে আরও কিছু জাপানি জড়ো হয়েছেন। আমাদের চেহারা দেখে তারা বুঝে নিল আমরা বিদেশি। একজন এসে বললেন, ‘তুমি কোন দেশের নাগরিক?’ আমি উত্তর দেওয়ার পর কয়েকজনের প্রশ্ন, ‘তোমরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র?’

মাথা নেড়ে সম্মতি জানানোর পর প্রথমজন বললেন, ‘তুমি একটু রাস্তার সামনে কিংবা তার চারপাশে খুঁজবে কি- কোথাও কোনো বোতল কিংবা কাগজের টুকরো আছে কি-না? তুমি কি একটিবারও মনে করনি, আমরা জাপানিরা ডাস্টবিন ছাড়া কোথাও কোনো আবর্জনা ফেলি না? এটা জাপানিদের সংস্কৃতি।’

আমি লজ্জায় অধোবদন হয়ে গেলাম। নিমিষে মলিন চেহারায় ক্ষমা চাইলাম। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে আর কিছু বললেন না।

এর পর আমি কয়েক দিন রাস্তা দিয়ে চলার সময় ইচ্ছা করে খুঁজে দেখেছি কোনো ময়লা, কাগজ বা প্লাস্টিকের টুুকরো পাই কি-না। না, পাইনি। যে ট্রেনেই উঠেছি, মনে হয়েছে ট্রেনটি নতুন বানানো।

বিস্কুট কিংবা কলা খাওয়ার পর আমি অনেক দিন জামা কিংবা প্যান্টের পকেটে খালি প্যাকেট বহন করে রুমে নিয়ে এসেছি। ল্যাবমেটদের কাছ থেকে জেনেছি, তারা পরিষ্কার থাকাকে নিজেদের দায়িত্ববোধ করে। এখানে নার্সারি স্কুলগুলোতে শেখায় কীভাবে স্বনির্ভর মানুষ হওয়া যায়, কীভাবে ডাস্টবিন ব্যবহার করা যায়। এ শিক্ষা শুরু হয় ৩-৪ বছর বয়স থেকে।

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৯
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৩৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৪
  • ১১:৫২
  • ৩:৫৪
  • ৫:৩৪
  • ৬:৪৮
  • ৬:০৬

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১