শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয় জানতে ফের আদালতের রুল জারি

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে ফের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে আদালত।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনীত সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ঐসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান। আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ ইজাত কবির। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ নয় জানতে ফের আদালতের রুল জারি

আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে ফের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জেলা পরিষদ আইনের ৪ (২), ১৭ ও ৫ ধারা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করে আদালত।

গত ২০ নভেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর পার্বত্য তিন জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

জেলা পরিষদ নির্বাচনী আইনে আনীত সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।  আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এখানে সরাসরি ভোটের কোন সুযোগ নেই। সংবিধানে পরোক্ষ ভোট বলে কিছু নেই। তাই ঐসব ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৪ (২) ও ১৭ ধারা এবং জেলা পরিষদ সংশোধিত আইন-২০১৬ এর ৫ ধারাকে রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম আসাদুজ্জামান। আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করেন আইনজীবী সৈয়দ ইজাত কবির। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।