শিরোনাম :
Logo সারাদেশে কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা Logo জবিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি Logo ইবিতে খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ Logo দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড এবং চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র প্রতিবাদ Logo উত্তর কচুয়া জাতীয়তাবাদী প্রবাসী কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে মহিলা দলের বিশাল গনমিছিল Logo কচুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরন ও মিছিল Logo চাঁদপুরে খতিবের উপর হামলার প্রতিবাদে শহর জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত Logo চাঁদপুর জেলা বিজেপি’র জেলা কমিটি গঠনকল্পে সমন্বয় সভা আন্দালিভ রহমান পার্থ বাংলাদেশে সুস্থধারার রাজনীতির দিকপাল ………উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা

চলে গেলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর নেই। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে রোববার ভোররাত ৪টা ২৪ মিনিটে তিনি মারা গেছেন।
এর আগে তিনি ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সত্তরোর্ধ্ব সুরঞ্জিত ফুসফুসে সংক্রমণ ও রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বল্পতাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার সকালে হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে তিনি নাম্বার ওয়ান বলে আমার মনে হয়। তার মৃত্যুতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে এবং এটা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আনোয়ারাপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ল’কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি।

সুরঞ্জিত মোট সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন।
সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সারাদেশে কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা

চলে গেলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত !

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর নেই। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে রোববার ভোররাত ৪টা ২৪ মিনিটে তিনি মারা গেছেন।
এর আগে তিনি ওই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সত্তরোর্ধ্ব সুরঞ্জিত ফুসফুসে সংক্রমণ ও রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বল্পতাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার সকালে হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে তিনি নাম্বার ওয়ান বলে আমার মনে হয়। তার মৃত্যুতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে এবং এটা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আনোয়ারাপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ল’কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি।

সুরঞ্জিত মোট সাতবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন।
সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।