শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

কচুয়ার ইউএনওর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ক্ষমতা স্থগিত !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ার বলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

কচুয়ার ইউএনওর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ক্ষমতা স্থগিত !

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এক ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সাজা দেওয়ার বিষয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ আগস্ট সকাল ১১ টায় মো. সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাদিজাতুল কোবরা মাদরাসার ছাত্রী সুমি আক্তারকে (১৪) শ্লীতাহানির উদ্দেশে আক্রমণ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোহরাবকে আটক করে কচুয়া থানার এএসআই শাহাদাত হোসেন। আটকের পর তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেনের সামনে হাজির করা হয়। এরপর পরিচালনা করা হয় মোবাইল কোর্ট। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে দোষ স্বীকার করলে সোহরাবকে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬(১) ধারা অনুসারে দুই বছরের সাজা প্রদান করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন সোহরাব। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আপিল খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর সোহরাব হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। ওই আবেদনে তিনি জামিন চান। গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট সোহরাবকে জামিন দেয়। পাশাপাশি কোন এখতিয়ার বলে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছিল এ বিষয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ইউএনওকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গত রোববার হাইকোর্টে হাজির হন ইউএনও আশরাফ হোসেন। তিনি ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় চান। আদালত সময় মঞ্জুর করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ওই সময় পর্যন্ত তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম জহিরুল হক জহির ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান। ইউএনওর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার।