শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

গাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব আনছে আরব দেশগুলো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ভূখণ্ডটি দখলের পরিকল্পনা করেছেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। তার এ প্রস্তাব আরব দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্রুত বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠনের মতো বিভিন্ন খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি হামাসকে পাশ কাটিয়ে একটি নতুন চুক্তির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে পাঁচটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা হবে। তবে কায়রো ও আম্মান তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।

রয়টার্সের ১৫টি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব এ পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি হতাশ। কারণ, গাজা দখলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের শর্ত বাতিল হয়ে যাবে, যা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সৌদির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে।

এ সংকটের সমাধানে মিসর একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর মূল বিষয়বস্তু হলো, হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসন পরিচালনার জন্য একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করা। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় গাজার পুনর্গঠন এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।

এই প্রস্তাব রিয়াদে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরব সম্মেলনে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

এ সংকট সমাধানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। জর্ডানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি যে, আমরা বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি এবং সৌদি যুবরাজ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে, তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে সৌদি আরবের অবস্থান আরও সুসংহত করতে কাজ করছেন।

এদিকে, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এই মুহূর্তে একমাত্র পরিকল্পনা ট্রাম্পের। তবে তাদের যদি আরও ভালো বিকল্প থাকে, এখনই তা উপস্থাপন করা উচিত।”

আরব দেশগুলোর মুখপাত্ররা এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

গাজা নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব আনছে আরব দেশগুলো

আপডেট সময় : ১০:১৬:৪২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ভূখণ্ডটি দখলের পরিকল্পনা করেছেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। তার এ প্রস্তাব আরব দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্রুত বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ মাসেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠনের মতো বিভিন্ন খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি হামাসকে পাশ কাটিয়ে একটি নতুন চুক্তির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে পাঁচটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা হবে। তবে কায়রো ও আম্মান তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়াবে।

রয়টার্সের ১৫টি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব এ পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি হতাশ। কারণ, গাজা দখলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের শর্ত বাতিল হয়ে যাবে, যা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সৌদির কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে দুর্বল করবে।

এ সংকটের সমাধানে মিসর একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এর মূল বিষয়বস্তু হলো, হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসন পরিচালনার জন্য একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করা। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় গাজার পুনর্গঠন এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়া।

এই প্রস্তাব রিয়াদে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরব সম্মেলনে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

এ সংকট সমাধানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। জর্ডানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি যে, আমরা বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি এবং সৌদি যুবরাজ এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে, তিনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে সৌদি আরবের অবস্থান আরও সুসংহত করতে কাজ করছেন।

এদিকে, ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এই মুহূর্তে একমাত্র পরিকল্পনা ট্রাম্পের। তবে তাদের যদি আরও ভালো বিকল্প থাকে, এখনই তা উপস্থাপন করা উচিত।”

আরব দেশগুলোর মুখপাত্ররা এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।