শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

সাগর-রুনি হত্যা : হাতে এসেছে তথ্য, মুখ খুলছেন আসামিরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭১২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক:

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনির হত্যা মামলার বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। একইসাথে আসামিরা মুখ খুলছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী শিশির মনির।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন জেলে থাকা আসামিরা। অতীতে তদন্ত প্রক্রিয়ায় আইনিভাবে চলতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। দ্রুতই হাইকোর্টে দাখিল হবে তদন্ত রিপোর্ট।

এই আইনজীবী বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলাটি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, গঠিত টাস্কফোর্সে যারা রয়েছেন, তারা মামলার বাদী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হতো। এ কারণে তদন্ত আগায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি আদালতে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন করে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। মূলত উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গেল নভেম্বর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্কফোর্স।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। কবে নাগাদ মামলার তদন্ত শেষ হবে বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ-ডিবি-র‍্যাবের হাত ঘুর এখন মামলার তদন্তভার পেয়েছে পিবিআই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

সাগর-রুনি হত্যা : হাতে এসেছে তথ্য, মুখ খুলছেন আসামিরা

আপডেট সময় : ০৩:২৪:০২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অনলাইন ডেস্ক:

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনির হত্যা মামলার বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। একইসাথে আসামিরা মুখ খুলছে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী শিশির মনির।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন জেলে থাকা আসামিরা। অতীতে তদন্ত প্রক্রিয়ায় আইনিভাবে চলতে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। দ্রুতই হাইকোর্টে দাখিল হবে তদন্ত রিপোর্ট।

এই আইনজীবী বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলাটি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, গঠিত টাস্কফোর্সে যারা রয়েছেন, তারা মামলার বাদী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হতো। এ কারণে তদন্ত আগায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি আদালতে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন করে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। মূলত উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে গেল নভেম্বর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্কফোর্স।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। কবে নাগাদ মামলার তদন্ত শেষ হবে বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ-ডিবি-র‍্যাবের হাত ঘুর এখন মামলার তদন্তভার পেয়েছে পিবিআই।