আ. লীগকে ক্ষমা করার মানে ৪ হাজার মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা- হাসনাত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ কী জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সাদিকুর রহমান খান নামের একজনের একটি পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তা নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-

”আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পাবে, এইসব কথার কোন মানে নাই। ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের কোন ক্ষমা হয় না। অপরাধের হয় শাস্তি। আর যখন সেই অপরাধ একটা দল বারবার করতে থাকে, তখন সেই দলের ক্ষমা কেন, চোখের জলও বিশ্বাস করার পরিস্থিতি থাকে না।

হাসিনা তো জুলাই বিপ্লবের আহতদের জন্য কালো চাদর পরেছিলো, কান্নাকাটি করেছিল মানুষের সামনে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। আবু সাঈদের ফ্যামিলিকে গণভবনে ডেকেছে। এরপর?

এরপর সে তার দুইদিন পর হেলিকপ্টার দিয়ে আরো বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। কাজেই, ওদের ক্ষমার মধ্যে অনুতাপ না, ওদের ক্ষমার মধ্যে থাকে আরো বেশি প্রতিশোধের আগুন।

আওয়ামী লীগ যদি কখনও ক্ষমা চায়, জেনে রাইখেন, ওটা মানুষের ভালো করার জন্য ক্ষমা চায় না। বরং মানুষকেও আরো বেশি শাস্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমা চায়।

আওয়ামী লীগের প্রতিবার আগের চেয়ে পরের টার্মে নির্যাতন আর ধ্বংসের মাত্রা ছিলো বেশি। কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি”।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আ. লীগকে ক্ষমা করার মানে ৪ হাজার মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা- হাসনাত

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ কী জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সাদিকুর রহমান খান নামের একজনের একটি পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তা নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-

”আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পাবে, এইসব কথার কোন মানে নাই। ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের কোন ক্ষমা হয় না। অপরাধের হয় শাস্তি। আর যখন সেই অপরাধ একটা দল বারবার করতে থাকে, তখন সেই দলের ক্ষমা কেন, চোখের জলও বিশ্বাস করার পরিস্থিতি থাকে না।

হাসিনা তো জুলাই বিপ্লবের আহতদের জন্য কালো চাদর পরেছিলো, কান্নাকাটি করেছিল মানুষের সামনে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। আবু সাঈদের ফ্যামিলিকে গণভবনে ডেকেছে। এরপর?

এরপর সে তার দুইদিন পর হেলিকপ্টার দিয়ে আরো বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। কাজেই, ওদের ক্ষমার মধ্যে অনুতাপ না, ওদের ক্ষমার মধ্যে থাকে আরো বেশি প্রতিশোধের আগুন।

আওয়ামী লীগ যদি কখনও ক্ষমা চায়, জেনে রাইখেন, ওটা মানুষের ভালো করার জন্য ক্ষমা চায় না। বরং মানুষকেও আরো বেশি শাস্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমা চায়।

আওয়ামী লীগের প্রতিবার আগের চেয়ে পরের টার্মে নির্যাতন আর ধ্বংসের মাত্রা ছিলো বেশি। কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি”।