আন্দোলনে চোখ হারিয়েছেন এইচএসসি শিক্ষার্থী জুবায়ের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৪ বার পড়া হয়েছে

বৈষষ্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষে চলাকালে পুলিশের ছররা বুলেটে এক চোখ হারিয়েছেন সিরাজগঞ্জর কামারখন্দ উপজেলার সরকারি হাজী কোরপ আলি মেমোরিয়াল কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান জিহাদ।

জুবায়ের হাসান জিহাদ কামারখন্দ উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।

গত ১৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ থেকে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের র‍্যালি বের হলে রেলগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলি তার বাম চোখে লাগে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার শহরের ডা. এম এ মতিন চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখান থেকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দুটি অপারেশন করা হয়।

জুবায়েরের মা হাসি বেগম জানান, জুবায়েরের এক চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। গুলি এখনও ভেতরে রয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছে আরও তিনটি অপারেশন করলে ভালো হতে পারে। কিন্তু সেই চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু আমি এতো টাকা আমি কোথায় পাবো? আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১৫-১৬ বছর। আমি সুতার কাজ করে সংসার চালাই। কেউ যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো আমার ছেলে আবার দেখতে পাবে।

এ বিষয়ে জুবায়ের জানান, আমি আমার চোখ দিয়ে দেশের বিজয় আনতে পেরেছি। এখন আমার শুধু আমার একটাই চাওয়া আমার এই চোখ দিয়ে যেন আমার স্বাধীন দেশকে স্বাধীনভাবে দেখতে পারি ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন সুলতানা জানান, কামারখন্দে একটা ছেলে আহত হয়েছে আমি শুনেছি । উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আন্দোলনে চোখ হারিয়েছেন এইচএসসি শিক্ষার্থী জুবায়ের

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

বৈষষ্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষে চলাকালে পুলিশের ছররা বুলেটে এক চোখ হারিয়েছেন সিরাজগঞ্জর কামারখন্দ উপজেলার সরকারি হাজী কোরপ আলি মেমোরিয়াল কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান জিহাদ।

জুবায়ের হাসান জিহাদ কামারখন্দ উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে।

গত ১৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজ থেকে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের র‍্যালি বের হলে রেলগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ছোড়া গুলি তার বাম চোখে লাগে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার শহরের ডা. এম এ মতিন চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখান থেকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দুটি অপারেশন করা হয়।

জুবায়েরের মা হাসি বেগম জানান, জুবায়েরের এক চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। গুলি এখনও ভেতরে রয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছে আরও তিনটি অপারেশন করলে ভালো হতে পারে। কিন্তু সেই চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু আমি এতো টাকা আমি কোথায় পাবো? আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১৫-১৬ বছর। আমি সুতার কাজ করে সংসার চালাই। কেউ যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো আমার ছেলে আবার দেখতে পাবে।

এ বিষয়ে জুবায়ের জানান, আমি আমার চোখ দিয়ে দেশের বিজয় আনতে পেরেছি। এখন আমার শুধু আমার একটাই চাওয়া আমার এই চোখ দিয়ে যেন আমার স্বাধীন দেশকে স্বাধীনভাবে দেখতে পারি ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন সুলতানা জানান, কামারখন্দে একটা ছেলে আহত হয়েছে আমি শুনেছি । উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।