শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

প্রায় কোটি টাকাসহ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক তিন ব্যক্তি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩২ বার পড়া হয়েছে

ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিন যুবককে আটক করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টাকার উৎসের ব্যাপারে সদুত্তর দিতে না পারায়, উৎস ও মালিক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট মো. জাহিদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার হরিয়ালা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২) ও আশুগঞ্জের দুর্গাপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে প্রাইভেট কারচালক জুলহাস মিয়া (৩২)।

শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুলপড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাদের পাশে ছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তাঁরা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ পান। এরপর পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রাইভেট কারের যাত্রীদের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য গিয়ে টাকা, গাড়িসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভির উপস্থিতিতে টাকা গণনা করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনডিসি শিহাব সারার অভি বলেন, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনজনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেন। উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিনজনের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

প্রায় কোটি টাকাসহ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক তিন ব্যক্তি

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪

ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিন যুবককে আটক করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টাকার উৎসের ব্যাপারে সদুত্তর দিতে না পারায়, উৎস ও মালিক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট মো. জাহিদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার হরিয়ালা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২) ও আশুগঞ্জের দুর্গাপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে প্রাইভেট কারচালক জুলহাস মিয়া (৩২)।

শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুলপড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাদের পাশে ছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তাঁরা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ পান। এরপর পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রাইভেট কারের যাত্রীদের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য গিয়ে টাকা, গাড়িসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভির উপস্থিতিতে টাকা গণনা করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনডিসি শিহাব সারার অভি বলেন, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনজনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেন। উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিনজনের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।