জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রুপার রোগী দেখায় অনীহা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুপার বিরুদ্ধে রোগী না দেখার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জরুরি বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এসময় রোগী না দেখে এসি কক্ষের দরজা বন্ধ করে ওই চিকিৎসক সময় পার করছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। এদের একজন দিনমজুর হাতেম আলী। তিনি বলেন, ‘জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। অনেকক্ষণ যাবৎ বসেছিলাম। কিন্তু কোনো ডাক্তার পাইনি। একজন মহিলা ডাক্তার দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন। কিন্তু তিনি রোগী দেখেননি।’

গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে হাসপাতালে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ডা. রুপা। চিকিৎসকের কক্ষের দরজা খোলা থাকলেও কোনো চিকিৎসক সেখানে ছিলেন না। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডা. রুপা কক্ষে প্রবেশ করেন। একই দৃশ্য দেখা যায় গতকাল শুক্রবারও। এদিন দুপুরে ডা. রুপার ডিউটি থাকলেও তিনি জরুরি বিভাগে না বসে একটি এসি কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে সময় পার করছিলেন। আর এসময় জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে ছিলেন।

জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের কোহিনূর বেগম বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ডাক্তার থাকার কথা, কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না। একজন মহিলা ডাক্তার দরজা বন্ধ করে বসে ছিল।’

এদিকে, তথ্য নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হন দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সাংবাদিক চাষি রমজান। জরুরি বিভাগের ছবি তোলায় ডা. রুপা তার সাথে অসৌজন্যমূলল আচরণ করেন।

সাংবাদিক চাষি রমজান বলেন, ‘আমি হাসপাতালের গিয়ে জরুরি বিভাগের দরজার সামনে রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। এসময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। আমি ওই কক্ষের একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করি। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ডা. রুপা আসেন এবং তড়িঘড়ি করে রোগী দেখতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন, আপনি কার অনুমতিতে ছবি তুললেন। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সকলের সামনেই আমাকে অপমানিত করেন।’

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, ‘হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সবসময় চিকিৎসক থাকার কথা। যদি না হয়ে থাকে, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রুপার রোগী দেখায় অনীহা

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুপার বিরুদ্ধে রোগী না দেখার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জরুরি বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এসময় রোগী না দেখে এসি কক্ষের দরজা বন্ধ করে ওই চিকিৎসক সময় পার করছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। এদের একজন দিনমজুর হাতেম আলী। তিনি বলেন, ‘জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। অনেকক্ষণ যাবৎ বসেছিলাম। কিন্তু কোনো ডাক্তার পাইনি। একজন মহিলা ডাক্তার দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন। কিন্তু তিনি রোগী দেখেননি।’

গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে হাসপাতালে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ডা. রুপা। চিকিৎসকের কক্ষের দরজা খোলা থাকলেও কোনো চিকিৎসক সেখানে ছিলেন না। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডা. রুপা কক্ষে প্রবেশ করেন। একই দৃশ্য দেখা যায় গতকাল শুক্রবারও। এদিন দুপুরে ডা. রুপার ডিউটি থাকলেও তিনি জরুরি বিভাগে না বসে একটি এসি কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে সময় পার করছিলেন। আর এসময় জরুরি বিভাগে আসা রোগীরা চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে ছিলেন।

জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের কোহিনূর বেগম বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ডাক্তার থাকার কথা, কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না। একজন মহিলা ডাক্তার দরজা বন্ধ করে বসে ছিল।’

এদিকে, তথ্য নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হন দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সাংবাদিক চাষি রমজান। জরুরি বিভাগের ছবি তোলায় ডা. রুপা তার সাথে অসৌজন্যমূলল আচরণ করেন।

সাংবাদিক চাষি রমজান বলেন, ‘আমি হাসপাতালের গিয়ে জরুরি বিভাগের দরজার সামনে রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। এসময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। আমি ওই কক্ষের একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করি। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে ডা. রুপা আসেন এবং তড়িঘড়ি করে রোগী দেখতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন, আপনি কার অনুমতিতে ছবি তুললেন। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সকলের সামনেই আমাকে অপমানিত করেন।’

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, ‘হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সবসময় চিকিৎসক থাকার কথা। যদি না হয়ে থাকে, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’