ইসরাইলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন (৫১ কোটি) ডলারের বোমা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সংঘাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গোলাবারুদ ব্যবহার করার পর ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ সংবাদ জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ)  এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এই বিক্রি ইসরাইলকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এর ফলে তারা নিজেদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং জনবসতি সুরক্ষায় আরও দক্ষ হবে।

ডিএসসিএ আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরাইলের শক্তিশালী ও প্রস্তুত আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের অংশ।

এই বিক্রির প্রস্তাব স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনুমোদন করেছে এবং ডিএসসিএ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। এখন এটি কার্যকর করতে মার্কিন কংগ্রেসের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন।

গত ১৩ জুন, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, বিজ্ঞানী ও সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে নজিরবিহীন এক বিমান হামলা চালায়। তেলআবিবের দাবি এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে চিরতরে শেষ করতে ছিল। তবে ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম শুধুই বেসামরিক উদ্দেশ্যে কিন্তু ওয়াশিংটন ও অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রের মতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথেই এগোচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করে ২০১৮ সালে বাতিল করা পারমাণবিক চুক্তির বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে তিনি সামরিক পথ বেছে নেন এবং মার্কিন বাহিনীকে ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেন।

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গত সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেহরানকে আর কখনো তার পারমাণবিক স্থাপনা পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে না। ফলে ভবিষ্যতে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরাইলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন (৫১ কোটি) ডলারের বোমা

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সংঘাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গোলাবারুদ ব্যবহার করার পর ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ সংবাদ জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ)  এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এই বিক্রি ইসরাইলকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এর ফলে তারা নিজেদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং জনবসতি সুরক্ষায় আরও দক্ষ হবে।

ডিএসসিএ আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরাইলের শক্তিশালী ও প্রস্তুত আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের অংশ।

এই বিক্রির প্রস্তাব স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনুমোদন করেছে এবং ডিএসসিএ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। এখন এটি কার্যকর করতে মার্কিন কংগ্রেসের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন।

গত ১৩ জুন, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, বিজ্ঞানী ও সামরিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে নজিরবিহীন এক বিমান হামলা চালায়। তেলআবিবের দাবি এই হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে চিরতরে শেষ করতে ছিল। তবে ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম শুধুই বেসামরিক উদ্দেশ্যে কিন্তু ওয়াশিংটন ও অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রের মতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথেই এগোচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করে ২০১৮ সালে বাতিল করা পারমাণবিক চুক্তির বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে তিনি সামরিক পথ বেছে নেন এবং মার্কিন বাহিনীকে ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেন।

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গত সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেহরানকে আর কখনো তার পারমাণবিক স্থাপনা পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়া হবে না। ফলে ভবিষ্যতে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।