শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে ১২৮ কোটি টাকার পরিকল্পনা

  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে ১২৮ কোটি টাকার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার গুণগত পরিবেশ তৈরি করতে এই টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়গুলোতে আগাছার স্তুপ তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে অনেক বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে। প্রকল্পের টাকায় এসব বিদ্যালয়ে নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করা হবে।

খুলে দেয়ার পর স্কুলে এসে শিক্ষার্থীরা যেন নতুন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে সেই জন্যই ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১২৮ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বিশাল উদ্যোগ বাস্তবায়নে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা অনুদান দেবে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (ডিপিই)। বাকি টাকা সরকারি অর্থায়ন থেকে মেটানো হবে। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারাদেশে সরকারি বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার একশ’ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

এদিকে, নতুন এই প্রকল্পটির আওতায় প্রাথমিকের সব শ্রেণিতে সব বিষয়ের ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাণ শুরু হবে। ক্লাসে সনাতন পদ্ধতিতে পড়ানো ছাড়াও এ কন্টেন্টগুলো প্রদর্শন করে শ্রেণি কার্যক্রমে আধুনিকায়ন করা হবে।

এসব বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার সব ধরনের চেষ্টা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। করোনার কারণে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সেটি পূরণ করতে এরকম আরো প্রকল্প হাতে নিতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রতন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, করোনার মতো যেকোনো মহামারিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় যেন কোনো বাধা না আসে সেভাবে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। স্কুলগুলোতে কম্পিউটার ও ডিজিটাল স্ক্রিন কেনা হবে। এবার সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কম্পিউটার কেনা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে ১২৮ কোটি টাকার পরিকল্পনা

আপডেট সময় : ০৪:৪০:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে ১২৮ কোটি টাকার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার গুণগত পরিবেশ তৈরি করতে এই টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বিদ্যালয়গুলোতে আগাছার স্তুপ তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে অনেক বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে। প্রকল্পের টাকায় এসব বিদ্যালয়ে নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করা হবে।

খুলে দেয়ার পর স্কুলে এসে শিক্ষার্থীরা যেন নতুন করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে সেই জন্যই ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ নামে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১২৮ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বিশাল উদ্যোগ বাস্তবায়নে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা অনুদান দেবে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (ডিপিই)। বাকি টাকা সরকারি অর্থায়ন থেকে মেটানো হবে। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারাদেশে সরকারি বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার একশ’ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

এদিকে, নতুন এই প্রকল্পটির আওতায় প্রাথমিকের সব শ্রেণিতে সব বিষয়ের ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাণ শুরু হবে। ক্লাসে সনাতন পদ্ধতিতে পড়ানো ছাড়াও এ কন্টেন্টগুলো প্রদর্শন করে শ্রেণি কার্যক্রমে আধুনিকায়ন করা হবে।

এসব বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার সব ধরনের চেষ্টা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। করোনার কারণে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সেটি পূরণ করতে এরকম আরো প্রকল্প হাতে নিতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রতন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, করোনার মতো যেকোনো মহামারিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় যেন কোনো বাধা না আসে সেভাবে পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। স্কুলগুলোতে কম্পিউটার ও ডিজিটাল স্ক্রিন কেনা হবে। এবার সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কম্পিউটার কেনা হবে।