শিরোনাম :
Logo শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান Logo পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো ৬ বছরের শিশু জিদান Logo কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। Logo ড. ইউনূসের নামে দুদকের মামলা বাতিল Logo কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে ৫ দফা দাবি প্রদান রাবি শিক্ষার্থীদের Logo বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি Logo শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পরও অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা Logo জাল ভিসা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দূতাবাসের Logo জাল ভিসা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দূতাবাসের Logo ইন্টারনেটের খরচ কমানোর ঘোষণা, জানা গেল কোন স্তরে কমছে কত

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার !

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি তার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও আছে। এমনটাই দাবি করছেন বিজেপির এমপি প্রবীণ রাজনীতিক রাণে। তার অভিযোগ, মুম্বাই পুলিশ দুটি ঘটনার যথার্থ তদন্ত না করে এই ষড়যন্ত্রে শক্তিধরদের গোপন করছে।

গত ৮ জুন রাতে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মালাড ওয়েস্টের একটি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন দিশা। ফ্ল্যাটের মালিক দিশার প্রেমিক, অভিনেতা রোহন রাই।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন দিশা।

রাণের দাবি, এই পার্টিতে কে কে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। এমনকি, ওই মজলিসে মহারাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও ছিলেন বলে অভিযোগ রাণের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত একটার দিকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ১২ তলা ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নীচে পড়ে যান দিশা। খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় খোলা রাস্তায় রক্তের স্রোতে পড়েছিলেন দিশা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ ঘটনার ছয়দিন পর ১৪ জুন দুপুরে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তার আগের দিন রাতে সেখানে পার্টি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা এবং সুশান্তের রহস্যমৃত্যু। দুইটি ঘটনাই যে একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সে দাবি প্রথম থেকেই উঠেছে। এই প্রশ্নও উঠছে, তা হলে কি সুশান্ত জানতেন দিশার পরিণতি কী হয়েছিল? সত্যিটা জানতেন বলে কি তাকেও সরিয়ে দেয়া হল?

দিশার মৃত্যুতে কিছু গোপন করা হচ্ছে, সে আশঙ্কা আরো জোরালো হয়েছে বিহার পুলিশের দাবিতে। সুশান্ত এবং দিশার মৃত্যুর ঘটনায় মুম্বাই এসেছে বিহার পুলিশের একটি দল।

তদন্তকারীদের দাবি, মালওয়ানি থানায় গিয়ে তারা দিশার কেসফাইল দেখতে চান। কিন্তু তাদের জানানো হয়, কেস ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে।

ফাইল পুনরুদ্ধারের জন্য চাওয়া হয় ল্যাপটপ। কিন্তু সেটাও তাদের দেয়া হয়নি বলে দাবি বিহার পুলিশের। ফলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে মুম্বাই পুলিশ কাউকে আড়াল করতে চাইছে। নইলে এত ফাইলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট ফাইল-ই বা হারিয়ে গেল কেন?

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার !

আপডেট সময় : ০১:৪৪:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি তার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নও আছে। এমনটাই দাবি করছেন বিজেপির এমপি প্রবীণ রাজনীতিক রাণে। তার অভিযোগ, মুম্বাই পুলিশ দুটি ঘটনার যথার্থ তদন্ত না করে এই ষড়যন্ত্রে শক্তিধরদের গোপন করছে।

গত ৮ জুন রাতে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মালাড ওয়েস্টের একটি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন দিশা। ফ্ল্যাটের মালিক দিশার প্রেমিক, অভিনেতা রোহন রাই।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন দিশা।

রাণের দাবি, এই পার্টিতে কে কে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। এমনকি, ওই মজলিসে মহারাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীও ছিলেন বলে অভিযোগ রাণের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত একটার দিকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ১২ তলা ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নীচে পড়ে যান দিশা। খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় খোলা রাস্তায় রক্তের স্রোতে পড়েছিলেন দিশা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ ঘটনার ছয়দিন পর ১৪ জুন দুপুরে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তার আগের দিন রাতে সেখানে পার্টি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা এবং সুশান্তের রহস্যমৃত্যু। দুইটি ঘটনাই যে একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সে দাবি প্রথম থেকেই উঠেছে। এই প্রশ্নও উঠছে, তা হলে কি সুশান্ত জানতেন দিশার পরিণতি কী হয়েছিল? সত্যিটা জানতেন বলে কি তাকেও সরিয়ে দেয়া হল?

দিশার মৃত্যুতে কিছু গোপন করা হচ্ছে, সে আশঙ্কা আরো জোরালো হয়েছে বিহার পুলিশের দাবিতে। সুশান্ত এবং দিশার মৃত্যুর ঘটনায় মুম্বাই এসেছে বিহার পুলিশের একটি দল।

তদন্তকারীদের দাবি, মালওয়ানি থানায় গিয়ে তারা দিশার কেসফাইল দেখতে চান। কিন্তু তাদের জানানো হয়, কেস ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে।

ফাইল পুনরুদ্ধারের জন্য চাওয়া হয় ল্যাপটপ। কিন্তু সেটাও তাদের দেয়া হয়নি বলে দাবি বিহার পুলিশের। ফলে সন্দেহ জোরালো হচ্ছে যে মুম্বাই পুলিশ কাউকে আড়াল করতে চাইছে। নইলে এত ফাইলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট ফাইল-ই বা হারিয়ে গেল কেন?