শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে নই : অর্থমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে না থাকলেও নতুন ব্যাংক অনুমোদন করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় ইআরএফের নবনির্বাচিত সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমান সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় আমি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে নই।  আমি না চাইলেও এগুলোতে আমাকে সুপারিশ করতে হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, এভাবে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় আমি ভেরি আনহ্যাপি (খুবই অখুশি)। এসব ব্যাংক খুব সত্বর মার্জার শুরু হবে।

নতুন ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন ছিল না, তাহলে দেওয়া হচ্ছে কেন? সাংবাদিকেদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় দিতে হচ্ছে।

এর আগে একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ব্যাংক দেওয়ার অভিজ্ঞা ভালো নয়, আবার একজন মন্ত্রীর আত্মীয় ব্যাংক পেতে যাচ্ছেন, এতে পুনরায় খারাপ অভিজ্ঞা আসবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক মিনিস্টারই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। এজন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলেই একীভূত করার কাজ শুরু হবে। যদি অন্য কেউ আসে তাহলে তাদেরকেও ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাব।

এদিকে, শুরুতে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় আরো চার ব্যাংক আসছে। ইতোমধ্যে পুলিশ বাহিনীর কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপর তিন ব্যাংক- দ্য বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক এবং দ্য সিটিজেন ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় দলিলাদির কিছু ঘাটতি থাকায় ওই তিন ব্যাংকের অনুমোদন সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা ২০১১ সালে আবেদন করেছিলাম। আমাদের পরে আবেদন করে অনেকেই ব্যাংক চালু করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল। বৈঠকে আমাদেরটাসহ অন্য তিন ব্যাংকের আবেদনে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিছু কাগজের ঘাটতি আছে। সেগুলো দেওয়ার পর আশা করছি বাংলাদেশে ব্যাংকের পরবর্তী বৈঠকে আমরা অনুমোদন পেয়ে যাব।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে নই : অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে না থাকলেও নতুন ব্যাংক অনুমোদন করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় ইআরএফের নবনির্বাচিত সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমান সময়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় আমি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পক্ষে নই।  আমি না চাইলেও এগুলোতে আমাকে সুপারিশ করতে হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, এভাবে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় আমি ভেরি আনহ্যাপি (খুবই অখুশি)। এসব ব্যাংক খুব সত্বর মার্জার শুরু হবে।

নতুন ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন ছিল না, তাহলে দেওয়া হচ্ছে কেন? সাংবাদিকেদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় দিতে হচ্ছে।

এর আগে একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে ব্যাংক দেওয়ার অভিজ্ঞা ভালো নয়, আবার একজন মন্ত্রীর আত্মীয় ব্যাংক পেতে যাচ্ছেন, এতে পুনরায় খারাপ অভিজ্ঞা আসবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক মিনিস্টারই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। এজন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলেই একীভূত করার কাজ শুরু হবে। যদি অন্য কেউ আসে তাহলে তাদেরকেও ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাব।

এদিকে, শুরুতে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় আরো চার ব্যাংক আসছে। ইতোমধ্যে পুলিশ বাহিনীর কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অপর তিন ব্যাংক- দ্য বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক এবং দ্য সিটিজেন ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় দলিলাদির কিছু ঘাটতি থাকায় ওই তিন ব্যাংকের অনুমোদন সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি ব্যাংকের উদ্যোক্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, আমরা ২০১১ সালে আবেদন করেছিলাম। আমাদের পরে আবেদন করে অনেকেই ব্যাংক চালু করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল। বৈঠকে আমাদেরটাসহ অন্য তিন ব্যাংকের আবেদনে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিছু কাগজের ঘাটতি আছে। সেগুলো দেওয়ার পর আশা করছি বাংলাদেশে ব্যাংকের পরবর্তী বৈঠকে আমরা অনুমোদন পেয়ে যাব।