একের পর এক বিস্ফোরকের মজুদ উদ্ধার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পুরান ঢাকা থেকে একের পর এক বিস্ফোরকের মজুদ উদ্ধার করছে গোয়েন্দা পুলিশ।গত শুক্রবার রাতে চকবাজার থানা এলাকা থেকে ৮১ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এ সময় মো. রমজান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।

গতকাল শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদে চকবাজার থানার আলীর ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো মতে, একটি বস্তায় রাখা বিস্ফোরকের সন্ধান মেলে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি সোমবার রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩নং গেটের সামনের রাস্তার ওপর থেকে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে ৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন প্রকারের এসব বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে শক্তিশালী বোমা বা গ্রেনেড। আবার এর একটি বড় অংশ জঙ্গিরা ক্রয় করে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দায়িত্বশলী এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সম্প্রতি জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেনেড, বোমা, বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের রিমান্ডে নিয়ে এর উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ব্যাপারে চকমপ্রদ তথ্য দেয় কল্যাণপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি রিগান।’

রিগানের দেওয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, পুরান ঢাকায় তাদের এক নেতা আছেন। তিনিই পুরান ঢাকা থেকে বিস্ফোরকগুলো সংগ্রহ করেন। পরে তা নানাভাবে জঙ্গি আস্তানায় নেওয়া হয়। এ কারণে ওই এলাকায় সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান।

গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘এসব বিস্ফোরক অনেক সময় দেশের ভেতর তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের বাইরে থেকেও আনছে দুষ্কৃতকারীরা। একটি চক্র এগুলো জঙ্গি বা অপরাধী গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করছে। এদের একটি চক্র পুরান ঢাকার চকবাজারকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।’

এদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ বা আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশ আইনের আওতায় আনছে না, তা ঠিক নয়। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর তারা অল্পদিনের ব্যবধানে কারাগার থেকে বের হয়ে শুরু করে পুরনো পেশা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

একের পর এক বিস্ফোরকের মজুদ উদ্ধার !

আপডেট সময় : ১০:২৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পুরান ঢাকা থেকে একের পর এক বিস্ফোরকের মজুদ উদ্ধার করছে গোয়েন্দা পুলিশ।গত শুক্রবার রাতে চকবাজার থানা এলাকা থেকে ৮১ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এ সময় মো. রমজান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।

গতকাল শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদে চকবাজার থানার আলীর ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো মতে, একটি বস্তায় রাখা বিস্ফোরকের সন্ধান মেলে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি সোমবার রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩নং গেটের সামনের রাস্তার ওপর থেকে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার কাছ থেকে ৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন প্রকারের এসব বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে শক্তিশালী বোমা বা গ্রেনেড। আবার এর একটি বড় অংশ জঙ্গিরা ক্রয় করে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দায়িত্বশলী এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সম্প্রতি জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেনেড, বোমা, বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের রিমান্ডে নিয়ে এর উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ব্যাপারে চকমপ্রদ তথ্য দেয় কল্যাণপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি রিগান।’

রিগানের দেওয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, পুরান ঢাকায় তাদের এক নেতা আছেন। তিনিই পুরান ঢাকা থেকে বিস্ফোরকগুলো সংগ্রহ করেন। পরে তা নানাভাবে জঙ্গি আস্তানায় নেওয়া হয়। এ কারণে ওই এলাকায় সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান।

গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘এসব বিস্ফোরক অনেক সময় দেশের ভেতর তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের বাইরে থেকেও আনছে দুষ্কৃতকারীরা। একটি চক্র এগুলো জঙ্গি বা অপরাধী গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করছে। এদের একটি চক্র পুরান ঢাকার চকবাজারকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।’

এদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ বা আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশ আইনের আওতায় আনছে না, তা ঠিক নয়। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর তারা অল্পদিনের ব্যবধানে কারাগার থেকে বের হয়ে শুরু করে পুরনো পেশা।