শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

এডিবি অর্থ ছাড়ের গতি বাড়াবে : অর্থমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে তাদের অর্থায়নকৃত প্রকল্পসমুহ যথাসময়ে বাস্তবায়নে চলতি বছর অর্থ ছাড়ের গতি আরো বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, এডিবির অর্থ ছাড়ের গতি বেশ ভালো। এডিবি আশা করছে, আগামী বছর এ গতি তারা আরও বাড়বে। এ বছর (সদ্যসমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে) তারা এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় করেছে। আগামী বছর (চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর) আশা করছি সেটা দুই বিলিয়নে চলে যাবে।’
আজ (রোববার) সচিবালয়ে বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি)’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এডিবি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সেবা ও অবকাঠামোগত সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারকে ২০ কোটি ডলার অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডলারের অনুদান অনুমোদন করেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেসব প্রকল্পেই তারা এই অর্থ দেবে। বাকি ১০ কোটি টাকা ডলার দেবে আগামী অর্থবছর।’
এডিবির জন্য এ ধরনের অনুদান দেয়া কঠিন তারপরও তারা ব্যতিক্রম করে অনুদান দিয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য এডিবির অনুদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা বিষয়ে সারাবিশ্ব আমাদের সঙ্গে রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থ সহায়তা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরতে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবকাঠামো ও মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
২০১৭ সালের আগস্টের শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় অবকাঠামোর ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ পড়েছে। রোহিঙ্গা জন¯্রােতের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনীতিও চাপে রয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবিক বিপর্যয়ও ঘটছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মনমোহন প্রকাশ বলেন, গত মে মাসে এডিবির কাছে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান চেয়েছিলো বাংলাদেশ। জরুরি বিবেচনায় অভাবনীয় গতিতে অনুদান অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় এডিবির ১০ কোটি ডলার সহায়তায় রোহিঙ্গাদের জন্য পানি, জ্বালানি, যোগাযোগ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

এডিবি অর্থ ছাড়ের গতি বাড়াবে : অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:০৬:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ জুলাই ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে তাদের অর্থায়নকৃত প্রকল্পসমুহ যথাসময়ে বাস্তবায়নে চলতি বছর অর্থ ছাড়ের গতি আরো বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, এডিবির অর্থ ছাড়ের গতি বেশ ভালো। এডিবি আশা করছে, আগামী বছর এ গতি তারা আরও বাড়বে। এ বছর (সদ্যসমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে) তারা এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় করেছে। আগামী বছর (চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর) আশা করছি সেটা দুই বিলিয়নে চলে যাবে।’
আজ (রোববার) সচিবালয়ে বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি)’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এডিবি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সেবা ও অবকাঠামোগত সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারকে ২০ কোটি ডলার অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডলারের অনুদান অনুমোদন করেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সেসব প্রকল্পেই তারা এই অর্থ দেবে। বাকি ১০ কোটি টাকা ডলার দেবে আগামী অর্থবছর।’
এডিবির জন্য এ ধরনের অনুদান দেয়া কঠিন তারপরও তারা ব্যতিক্রম করে অনুদান দিয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য এডিবির অনুদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা বিষয়ে সারাবিশ্ব আমাদের সঙ্গে রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থ সহায়তা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরতে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবকাঠামো ও মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
২০১৭ সালের আগস্টের শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় অবকাঠামোর ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ পড়েছে। রোহিঙ্গা জন¯্রােতের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনীতিও চাপে রয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে মানবিক বিপর্যয়ও ঘটছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মনমোহন প্রকাশ বলেন, গত মে মাসে এডিবির কাছে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান চেয়েছিলো বাংলাদেশ। জরুরি বিবেচনায় অভাবনীয় গতিতে অনুদান অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় এডিবির ১০ কোটি ডলার সহায়তায় রোহিঙ্গাদের জন্য পানি, জ্বালানি, যোগাযোগ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।