শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

রাঘববোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৫০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হোতা হিসেবে চুনোপুঁটিদের নাম উঠে আসছে বারবার। কিন্তু বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে রাঘববোয়ালরা। অভিযোগ রয়েছে- এসব রাঘববোয়াল ইচ্ছাকৃত খেলাপি। তাদের খেলাপির বেশিরভাগ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাঘববোয়ালরা এতই প্রভাবশালী যে অর্থঋণ আদালতে তাদের বিচার করা সম্ভব হবে না। তাদের বিচারে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে এসব খেলাপির সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তবে এর আগে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বড় খেলাপিরা নানা কৌশলে বেঁচে যাচ্ছেন। তারা ঋণ পুনর্গঠনের সহায়তায় খেলাপিমুক্ত। আবার তাদের কেউ কেউ পুনর্গঠনকৃত ঋণেও খেলাপি। তিনি বলেন, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনকৃত ঋণেও যারা খেলাপি তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত।

এদিকে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি ঋণ পুনর্গঠন সুবিধার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যারা ব্যাংকিং খাতের রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত। পুনর্গঠিত ঋণেও তারা খেলাপি। সেই খেলাপি ঋণ আবার পুনঃতফসিলের চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ করেছেনও। সুবিধাভোগী এসব রাঘববোয়াল ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশের দাবি উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, রাঘববোয়ালরাই মূলত প্রকৃত খেলাপি। কিন্তু তারা পুনঃতফসিল ও আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে খেলাপিমুক্ত। এ ছাড়া খেলাপি থেকে নাম কাটাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে নানা তদবির ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপের মধ্যে রাখে। সে কারণে তাদের নাম শীর্ষ খেলাপির তালিকায় দেখা যায় না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, রাঘববোয়ালরা ইচ্ছাকৃত খেলাপি। এসব খেলাপির বেশিরভাগ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এরা অনেক প্রভাবশালী। অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে এদের ধরা যাবে না। আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তা না হলে এটার সমাধান হবে না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সমাজ যাদেরকে রাঘববোয়াল হিসেবে চেনে, খেলাপির তালিকায় তাদের নাম নেই। হয়তো বা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে খতিয়ে দেখতে হবে অন্য পরিচয়ে ভিন্ন পথে তারা আবার ঋণখেলাপি হচ্ছে কিনা, যা দৃশ্যমান নয়। তিনি বলেন, যাদের নাম প্রকাশ হয়েছে, হতে পারে এরা নব্য রাঘববোয়াল। আকার ও প্রকারে ছোট হতে পারে। কিন্তু খেলাপি হওয়ার ধরন এক।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ২৫ শীর্ষ খেলাপির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো প্রভাবশালীর নাম দেখা যায়নি।

সিনিয়র ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, হাজার কোটি টাকার উপরে যারা খেলাপি তাদের নাম আসেনি। বিশেষ করে বড় রাঘববোয়ালদের নাম তালিকায় দেখা যায়নি। তিনি বলেন, কেউ কেউ ঋণ পুনঃতফসিল করে খেলাপি থেকে বেরিয়ে গেছেন। তবে যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তাদের বিচারের আওতায় না আনতে পারলে এটি কখনও বন্ধ করা যাবে না।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষ ২৫টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৬৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য।

তথ্যে দেখা যায়, শীর্ষ ২৫টি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের খেলাপি ঋণ ৮৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেডের ৫৫৮ কোটি ৯ লাখ টাকা, জাসমির ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ৫৪৭ কোটি ৯৫ লাখ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ৫২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৫১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ঢাকা ট্রেডিং হাউস ৪৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ৪৭৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, সিদ্দিক ট্রেডার্স ৪২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ ৪১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড ৪০১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, লিজেন্ড হোল্ডিংস ৩৪৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, হল-মার্ক ফ্যাশন লিমিটেড ৩৩৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল ৩৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্স ৩৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স লিমিটেড ৩২২ কোটি ৪ লাখ টাকা, সাহারিশ কম্পোজিট টাওয়েল লিমিটেড ৩১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিডেট ৩০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, কেয়া ইয়ার্ন লিমিটেড ২৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড ২৮৭ কোটি ১ লাখ টাকা, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেড ২৭৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, এস কে স্টিল ২৭১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, চৌধুরী নিটওয়্যার লিমিটেড ২৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, হেল্প লাইন রিসোর্সেস লিমিটেড ২৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিক্স-সিজন অ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেড ২৫৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস লিমিটেড ২৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

রাঘববোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৫০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮

নিউজ ডেস্ক: ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হোতা হিসেবে চুনোপুঁটিদের নাম উঠে আসছে বারবার। কিন্তু বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে রাঘববোয়ালরা। অভিযোগ রয়েছে- এসব রাঘববোয়াল ইচ্ছাকৃত খেলাপি। তাদের খেলাপির বেশিরভাগ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাঘববোয়ালরা এতই প্রভাবশালী যে অর্থঋণ আদালতে তাদের বিচার করা সম্ভব হবে না। তাদের বিচারে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে এসব খেলাপির সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তবে এর আগে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বড় খেলাপিরা নানা কৌশলে বেঁচে যাচ্ছেন। তারা ঋণ পুনর্গঠনের সহায়তায় খেলাপিমুক্ত। আবার তাদের কেউ কেউ পুনর্গঠনকৃত ঋণেও খেলাপি। তিনি বলেন, পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনকৃত ঋণেও যারা খেলাপি তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত।

এদিকে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি ঋণ পুনর্গঠন সুবিধার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যারা ব্যাংকিং খাতের রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত। পুনর্গঠিত ঋণেও তারা খেলাপি। সেই খেলাপি ঋণ আবার পুনঃতফসিলের চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ করেছেনও। সুবিধাভোগী এসব রাঘববোয়াল ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশের দাবি উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, রাঘববোয়ালরাই মূলত প্রকৃত খেলাপি। কিন্তু তারা পুনঃতফসিল ও আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে খেলাপিমুক্ত। এ ছাড়া খেলাপি থেকে নাম কাটাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে নানা তদবির ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপের মধ্যে রাখে। সে কারণে তাদের নাম শীর্ষ খেলাপির তালিকায় দেখা যায় না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, রাঘববোয়ালরা ইচ্ছাকৃত খেলাপি। এসব খেলাপির বেশিরভাগ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এরা অনেক প্রভাবশালী। অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে এদের ধরা যাবে না। আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তা না হলে এটার সমাধান হবে না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সমাজ যাদেরকে রাঘববোয়াল হিসেবে চেনে, খেলাপির তালিকায় তাদের নাম নেই। হয়তো বা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে খতিয়ে দেখতে হবে অন্য পরিচয়ে ভিন্ন পথে তারা আবার ঋণখেলাপি হচ্ছে কিনা, যা দৃশ্যমান নয়। তিনি বলেন, যাদের নাম প্রকাশ হয়েছে, হতে পারে এরা নব্য রাঘববোয়াল। আকার ও প্রকারে ছোট হতে পারে। কিন্তু খেলাপি হওয়ার ধরন এক।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ২৫ শীর্ষ খেলাপির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো প্রভাবশালীর নাম দেখা যায়নি।

সিনিয়র ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, হাজার কোটি টাকার উপরে যারা খেলাপি তাদের নাম আসেনি। বিশেষ করে বড় রাঘববোয়ালদের নাম তালিকায় দেখা যায়নি। তিনি বলেন, কেউ কেউ ঋণ পুনঃতফসিল করে খেলাপি থেকে বেরিয়ে গেছেন। তবে যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তাদের বিচারের আওতায় না আনতে পারলে এটি কখনও বন্ধ করা যাবে না।

বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষ ২৫টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৬৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য।

তথ্যে দেখা যায়, শীর্ষ ২৫টি ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের খেলাপি ঋণ ৮৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেডের ৫৫৮ কোটি ৯ লাখ টাকা, জাসমির ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড ৫৪৭ কোটি ৯৫ লাখ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস ৫২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ৫১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ঢাকা ট্রেডিং হাউস ৪৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ৪৭৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, সিদ্দিক ট্রেডার্স ৪২৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ ৪১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড ৪০১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, লিজেন্ড হোল্ডিংস ৩৪৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, হল-মার্ক ফ্যাশন লিমিটেড ৩৩৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল ৩৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্স ৩৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স লিমিটেড ৩২২ কোটি ৪ লাখ টাকা, সাহারিশ কম্পোজিট টাওয়েল লিমিটেড ৩১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিডেট ৩০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, কেয়া ইয়ার্ন লিমিটেড ২৯২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড ২৮৭ কোটি ১ লাখ টাকা, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেড ২৭৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, এস কে স্টিল ২৭১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, চৌধুরী নিটওয়্যার লিমিটেড ২৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, হেল্প লাইন রিসোর্সেস লিমিটেড ২৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিক্স-সিজন অ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেড ২৫৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস লিমিটেড ২৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।