শিরোনাম :
Logo খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ Logo পঞ্চগড়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন। Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস

মহেশপুরের আলোচিত জোড়া হত্যা মামলায় সাবেক প্রেমিক পুলিশ কনষ্টবলকে ১০ দিনের রিমান্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আলোচিত মুসা মিয়ার স্ত্রী রিপ্না খাতুন ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল আলিমের(৩২) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। আব্দুল আলিম যাদবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, সোমবার দেবহাটার ইছামতী নদীর ছুটিপুর ও কালিগঞ্জের ইছামতী নদীর বসন্তপুর থেকে যথাক্রমে মেয়ে মুন্নি আক্তার ও মা রিপ্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ইসরাফিল বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা স্ত্রী ও সন্তানকে না পেয়ে মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মুছা মিয়া। এ সময় তিনি পুলিশকে জানান, সাড়ে ৫ বছর আগে রিপ্না খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও একই গ্রামের আলীমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আলীম (কং নং-৯৫২৮) বর্তমানে ঢাকার গুলশানে ডিপোমেট্রিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত। ছুটিতে থাকা আলীমকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে। পূর্বের প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে ইতিপূর্বে আলিম কালিগঞ্জ থানায় কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত কোন ব্যক্তির বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর মা ও মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে লাশ সনাক্ত কালে পুলিশকে অবহিত করেন মুছা মিয়া। প্রাথমিক তদন্তে রিপ্না ও মুন্নিকে সাতক্ষীরায় নিয়ে এসেছিল আলিম তার সত্যতা মিলেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ

মহেশপুরের আলোচিত জোড়া হত্যা মামলায় সাবেক প্রেমিক পুলিশ কনষ্টবলকে ১০ দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আলোচিত মুসা মিয়ার স্ত্রী রিপ্না খাতুন ও তার মেয়ে মুন্নি আক্তারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল আলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল আলিমের(৩২) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। আব্দুল আলিম যাদবপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক সুধাংশু কুমার হালদার বলেন, সোমবার দেবহাটার ইছামতী নদীর ছুটিপুর ও কালিগঞ্জের ইছামতী নদীর বসন্তপুর থেকে যথাক্রমে মেয়ে মুন্নি আক্তার ও মা রিপ্না খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ইসরাফিল বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা স্ত্রী ও সন্তানকে না পেয়ে মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মুছা মিয়া। এ সময় তিনি পুলিশকে জানান, সাড়ে ৫ বছর আগে রিপ্না খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও একই গ্রামের আলীমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আলীম (কং নং-৯৫২৮) বর্তমানে ঢাকার গুলশানে ডিপোমেট্রিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত। ছুটিতে থাকা আলীমকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার যাদবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আটক করে। পূর্বের প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে ইতিপূর্বে আলিম কালিগঞ্জ থানায় কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচিত কোন ব্যক্তির বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর মা ও মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে লাশ সনাক্ত কালে পুলিশকে অবহিত করেন মুছা মিয়া। প্রাথমিক তদন্তে রিপ্না ও মুন্নিকে সাতক্ষীরায় নিয়ে এসেছিল আলিম তার সত্যতা মিলেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।