নান্দাইলে কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু ॥

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের ধরগাঁও (নদীরপাড়) গ্রামের মৃত আব্দুর রেজ্জাকের কিশোরী কন্যা জাহেদা আক্তার (১৫) মঙ্গলবার রাতে বসতঘরের র্ধনার সাথে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, কিশোরীর মা পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ করে নিজ বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মেয়ের লাশ দেখতে পান। পরে মায়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বার এনাম উদ্দিন এনা ও চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন কাইয়ূম, কিশোরীর বড় ভাই নুরে আলম সহ পরিবারের লোকজন ধারনা করে পেটব্যথা সহ্য করতে না পেরে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এই বলে সুপারিশ করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কিশোরীর লাশ দাফন করা ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তুু কিশোরীর মোবাইল ফোনে কিছু আলামতের বিষয় সন্দেহ হলে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের কাছে কিশোরীর বড় ভাই সহ মোবাইল ফোনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। নান্দাইল মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইউনুস আলী জানান, প্রথমে অসুস্থার কারনে কিশোরী জাহেদা আক্তার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে জানতে পারি। পরে কিশোরীর ব্যবহার করা মোবাইল ফোনের বিষয়টি সন্দেহ হলে আত্মহত্যার ঘটনাটি কথিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন বলে জানান। অপরদিকে বর্তমান ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যান জানান, মেয়েটির বাবা নেই তার উপর টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে কষ্ট হচ্ছিল। আর সেই ক্ষোভেই হয়তো মেয়েটি আত্মহত্যা করে ফেলে এমন ধারনা করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয় কিন্তুু পরে সন্দেহ প্রবণের বিষয়টি আর গভীর হলে থানা পুলিশকে বিষয়টি আবার জানানো হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নান্দাইলে কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু ॥

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:১৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের ধরগাঁও (নদীরপাড়) গ্রামের মৃত আব্দুর রেজ্জাকের কিশোরী কন্যা জাহেদা আক্তার (১৫) মঙ্গলবার রাতে বসতঘরের র্ধনার সাথে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, কিশোরীর মা পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ করে নিজ বাড়িতে এসে ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মেয়ের লাশ দেখতে পান। পরে মায়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বার এনাম উদ্দিন এনা ও চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন কাইয়ূম, কিশোরীর বড় ভাই নুরে আলম সহ পরিবারের লোকজন ধারনা করে পেটব্যথা সহ্য করতে না পেরে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এই বলে সুপারিশ করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই কিশোরীর লাশ দাফন করা ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তুু কিশোরীর মোবাইল ফোনে কিছু আলামতের বিষয় সন্দেহ হলে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের কাছে কিশোরীর বড় ভাই সহ মোবাইল ফোনটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। নান্দাইল মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইউনুস আলী জানান, প্রথমে অসুস্থার কারনে কিশোরী জাহেদা আক্তার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে জানতে পারি। পরে কিশোরীর ব্যবহার করা মোবাইল ফোনের বিষয়টি সন্দেহ হলে আত্মহত্যার ঘটনাটি কথিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন বলে জানান। অপরদিকে বর্তমান ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যান জানান, মেয়েটির বাবা নেই তার উপর টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে কষ্ট হচ্ছিল। আর সেই ক্ষোভেই হয়তো মেয়েটি আত্মহত্যা করে ফেলে এমন ধারনা করলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয় কিন্তুু পরে সন্দেহ প্রবণের বিষয়টি আর গভীর হলে থানা পুলিশকে বিষয়টি আবার জানানো হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।