শিরোনাম :

শীতকালে পা ও মাথা ভালো রাখার উপায় !

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অনেকের কাছেই শীত বেশ অস্বস্তিরও বটে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিয়ে ভাবিয়ে তোলে এই ঋতু। এইসময় হাত-পায়ের ত্বক যেমন খুব শুষ্ক হতে থাকে, তেমনই মাথার স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। কেউ নাজেহাল ফাটা গোড়ালির সমস্যায়, কেউ বা আবার খুসকিতে কাবু। তাই ঠিক মতো যত্ন না নিলে এই দুই সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাতে পারে অনেক।

পায়ের সমস্যা : শীতকালে পায়ের ত্বকও খুব শুষ্ক হয়। যারা ঠিক মতো পায়ের যত্ন করেন না, তাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। গোড়ালির চামড়া রুক্ষ ও খড়খড়ে হতে থাকে, মোটা চামড়া ফাটে। এই পা ফাটার সমস্যা দীর্ঘ সময় থাকলে, এটি ত্বকের সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। একজিমা, সোরিয়াসিস জাতীয় ত্বকের সমস্যা থেকে খুব বেশি মাত্রায় পা ফাটে।

সুন্দর পায়ের জন্য : এই সমস্যা খুব বেড়ে গেলে তা থেকে রক্তপাত ও খুব ব্যথা হয়। বাড়াবাড়ি হলে হয় ইনফেকশন। চিকিৎসকের কথায়, ক্লিন্সিং, স্ক্রাবিং অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজিং- এই পদ্ধতিতে পায়ের পরিচর্চা অত্যন্ত জরুরি। গরম পানিতে ভাল করে পা পরিষ্কার করতে হবে। স্ক্রাব করতে পিউমিস স্টোন (Pumice Stone) ব্যবহার করে গোড়ালি পরিষ্কার রাখুন। তার পর ভাল ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। মোজা ও চটি পরে থাকুন। তাও সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাথার ভিলেন খুসকি : শীতকালে মাথার স্ক্যাল্পও শুষ্ক হয়, মাথায় ধুলো জমে খুব বেশি। ফলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। ঠান্ডায় খুব কম শ্যাম্পু করার জন্য স্ক্যাল্প খুব বেশি তেলতেল হতে থাকে। যার ফলেও খুসকির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মাথার ত্বক খুব চুলকাতে থাকে।

চুলের যত্ন নিন : খুসকির সমস্যায় সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শ্যাম্পু করুন। বাজার চলতি অ্যান্টি ড্যানড্র‌াফ শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ক্ষতিই বেশি। চিকিৎসকের পরমার্শ মতো ক্ল্যাল্প লোশন ও মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে খুসকি নিয়ন্ত্রণে আসে সহজে। সমস্যার সমাধান না করলে স্ক্যাল্প ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

শীতকালে পা ও মাথা ভালো রাখার উপায় !

আপডেট সময় : ০১:১৮:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অনেকের কাছেই শীত বেশ অস্বস্তিরও বটে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিয়ে ভাবিয়ে তোলে এই ঋতু। এইসময় হাত-পায়ের ত্বক যেমন খুব শুষ্ক হতে থাকে, তেমনই মাথার স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যায়। কেউ নাজেহাল ফাটা গোড়ালির সমস্যায়, কেউ বা আবার খুসকিতে কাবু। তাই ঠিক মতো যত্ন না নিলে এই দুই সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাতে পারে অনেক।

পায়ের সমস্যা : শীতকালে পায়ের ত্বকও খুব শুষ্ক হয়। যারা ঠিক মতো পায়ের যত্ন করেন না, তাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। গোড়ালির চামড়া রুক্ষ ও খড়খড়ে হতে থাকে, মোটা চামড়া ফাটে। এই পা ফাটার সমস্যা দীর্ঘ সময় থাকলে, এটি ত্বকের সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। একজিমা, সোরিয়াসিস জাতীয় ত্বকের সমস্যা থেকে খুব বেশি মাত্রায় পা ফাটে।

সুন্দর পায়ের জন্য : এই সমস্যা খুব বেড়ে গেলে তা থেকে রক্তপাত ও খুব ব্যথা হয়। বাড়াবাড়ি হলে হয় ইনফেকশন। চিকিৎসকের কথায়, ক্লিন্সিং, স্ক্রাবিং অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজিং- এই পদ্ধতিতে পায়ের পরিচর্চা অত্যন্ত জরুরি। গরম পানিতে ভাল করে পা পরিষ্কার করতে হবে। স্ক্রাব করতে পিউমিস স্টোন (Pumice Stone) ব্যবহার করে গোড়ালি পরিষ্কার রাখুন। তার পর ভাল ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। মোজা ও চটি পরে থাকুন। তাও সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাথার ভিলেন খুসকি : শীতকালে মাথার স্ক্যাল্পও শুষ্ক হয়, মাথায় ধুলো জমে খুব বেশি। ফলে খুসকির সমস্যা বাড়ে। ঠান্ডায় খুব কম শ্যাম্পু করার জন্য স্ক্যাল্প খুব বেশি তেলতেল হতে থাকে। যার ফলেও খুসকির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মাথার ত্বক খুব চুলকাতে থাকে।

চুলের যত্ন নিন : খুসকির সমস্যায় সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শ্যাম্পু করুন। বাজার চলতি অ্যান্টি ড্যানড্র‌াফ শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ক্ষতিই বেশি। চিকিৎসকের পরমার্শ মতো ক্ল্যাল্প লোশন ও মেডিকেটেড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে খুসকি নিয়ন্ত্রণে আসে সহজে। সমস্যার সমাধান না করলে স্ক্যাল্প ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি।