শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

নান্দাইল মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ সভা !

  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ সভায় অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াল স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাজহারুল হক ফকির, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুস সালাম ভূইয়া (বীর প্রতীক), আব্দুল কাইয়ুম, মুক্তার হুসেন, উছমান গণি, জাকির হুসেন প্রমূখ। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের উদ্যোগে এক আনন্দ র‌্যালী বের হয়। আনন্দ র‌্যালীটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে শেষ হয়। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে নান্দাইল থানা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর গভীর রাতে নান্দাইলে মুজিব বাহিনীর সদস্য ন.ম.ম. ফারুকের নেতৃত্বে নান্দইল থানার উত্তর দিক চন্ডীপাশা-আঠারোবাড়ি রাস্তা খোলা রেখে বাকি তিন দিক ঘিরে ফেলে। আত্মসমর্পণ না করলে মুক্তিযোদ্ধারা ঝটিকা আক্রমণ করবে এই মর্মে একটি ঘোষণা করলে পাকবাহিনীসহ রাজাকার ও আলবদরের দল আঠারবাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। সে সময় সুবেদার তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর ১০/১২ জন ও শান্তিবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিকামী জনতা রাত ২ টার দিকে নান্দাইল থানা ও ডাকবাংলোতে পদার্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ভোর হতে না হতেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নান্দাইলের সর্বত্র ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে জনতার ঢল নামে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

নান্দাইল মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ সভা !

আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

রফিকুল ইসলাম রফিক, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ সভায় অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াল স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাজহারুল হক ফকির, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুস সালাম ভূইয়া (বীর প্রতীক), আব্দুল কাইয়ুম, মুক্তার হুসেন, উছমান গণি, জাকির হুসেন প্রমূখ। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের উদ্যোগে এক আনন্দ র‌্যালী বের হয়। আনন্দ র‌্যালীটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে শেষ হয়। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে নান্দাইল থানা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর গভীর রাতে নান্দাইলে মুজিব বাহিনীর সদস্য ন.ম.ম. ফারুকের নেতৃত্বে নান্দইল থানার উত্তর দিক চন্ডীপাশা-আঠারোবাড়ি রাস্তা খোলা রেখে বাকি তিন দিক ঘিরে ফেলে। আত্মসমর্পণ না করলে মুক্তিযোদ্ধারা ঝটিকা আক্রমণ করবে এই মর্মে একটি ঘোষণা করলে পাকবাহিনীসহ রাজাকার ও আলবদরের দল আঠারবাড়ির দিকে পালিয়ে যায়। সে সময় সুবেদার তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর ১০/১২ জন ও শান্তিবাহিনীর কয়েকজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিকামী জনতা রাত ২ টার দিকে নান্দাইল থানা ও ডাকবাংলোতে পদার্পণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। ভোর হতে না হতেই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নান্দাইলের সর্বত্র ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে জনতার ঢল নামে।