শিরোনাম :
Logo ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা Logo নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কয়েকটি প্রস্তাব Logo সমালোচনা ও আত্মসমালোচনা Logo দীপ্ত টিভির সংবাদ বন্ধ করতে বলেনি সরকার, বললেন তথ্য উপদেষ্টা Logo মাওলানা রইস উদ্দিনের নির্মম হত্যার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবববন্ধন Logo ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে যা বললো জামায়াত Logo রাজনৈতিক চাপে জুলাই চার্টার দ্রুত করে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার Logo প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য ভোটাধিকার প্রস্তাব চায় বিএনপি Logo আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কয়রায় মানববন্ধন Logo ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চায় জামায়াত’

দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যুদ্ধবিমান কিনছে চীন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০১:২৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এবার একটি বা দুটি নয়, ২৪টি রাশিয়ান সুখোই এসউ-৩৫ কেনার কী দরকার পড়ল চীনের! ব্যাপারটা যেন অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। এই লেনদেনের আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ শুনলে হয়তো চোখ কপালে উঠবে।
জানা যায়, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে!

এই চুক্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ান স্টেট কর্পোরেশনের রসটেকের ডিরেক্টর জেনারেল সের্গেই কেমেজভ। সের্গেই কেমেজভ জানিয়েছেন, খাতায়-কলমে চীনই প্রথম রাশিয়ান এসউ-৩৫ এয়ারক্রাফটের ক্রেতা হতে চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, চীনের অর্ডার দেওয়া ২৪টি এসউ-৩৫ বিমান তৈরি হবে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তে কমসমলস্ক-অন-অমুর এয়ারক্রাফ্ট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশনে। একেকটি বিমান কিনতে চীনের খরচ হবে প্রায় ৮৩-৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও এই লেনদেন বর্তমান সময়ের নয়। বছরখানেক আগে রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে আধুনিক এই রাশিয়ান ফাইটার জেট চীনের কাছে তুলে দেওয়া হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ১০টি যুদ্ধবিমান চীনকে দেওয়া হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা আরও সাপ্লাই করা হবে।

কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র খবরে বলা হয়, এসউ-৩৫ (ন্যাটো যার নাম দিয়েছে ফ্ল্যাঙ্কার-ই) হল ফোর্থ জেনারেশন প্লাস প্লাস ক্যাটাগরির যুদ্ধবিমান। টুইন ইঞ্জিনে বলীয়ান, যুদ্ধে পারদর্শী মাল্টি-ফাংশানাল ফাইটার জেটটিতে রয়েছে টুইন এ এল-১১৭ টার্বোফান ইঞ্জিন। আর এই ইঞ্জিনের কারণেই নয়া জেটটি চীনের এত পছন্দ। বেইজিং গত কয়েকবছর ধরেই ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমানে লাগানোর মতো উপযুক্ত ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই মনের মতো হচ্ছে না। চীনের ফিফথ জেনারেশন প্রোটোটাইপ মডেল “দ্য চেংদু জে-২০” ও “শেনইয়াং জে-৩১” ফাইটার জেটের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন চাই বেজিংয়ের। এই দুটি বিমানই এখন উড়ছে রাশিয়ার পুরানো ইঞ্জিনের দৌলতে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যুদ্ধবিমান কিনছে চীন !

আপডেট সময় : ১১:০১:২৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

এবার একটি বা দুটি নয়, ২৪টি রাশিয়ান সুখোই এসউ-৩৫ কেনার কী দরকার পড়ল চীনের! ব্যাপারটা যেন অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। এই লেনদেনের আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ শুনলে হয়তো চোখ কপালে উঠবে।
জানা যায়, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে!

এই চুক্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ান স্টেট কর্পোরেশনের রসটেকের ডিরেক্টর জেনারেল সের্গেই কেমেজভ। সের্গেই কেমেজভ জানিয়েছেন, খাতায়-কলমে চীনই প্রথম রাশিয়ান এসউ-৩৫ এয়ারক্রাফটের ক্রেতা হতে চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, চীনের অর্ডার দেওয়া ২৪টি এসউ-৩৫ বিমান তৈরি হবে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তে কমসমলস্ক-অন-অমুর এয়ারক্রাফ্ট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশনে। একেকটি বিমান কিনতে চীনের খরচ হবে প্রায় ৮৩-৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও এই লেনদেন বর্তমান সময়ের নয়। বছরখানেক আগে রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে আধুনিক এই রাশিয়ান ফাইটার জেট চীনের কাছে তুলে দেওয়া হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ১০টি যুদ্ধবিমান চীনকে দেওয়া হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা আরও সাপ্লাই করা হবে।

কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র খবরে বলা হয়, এসউ-৩৫ (ন্যাটো যার নাম দিয়েছে ফ্ল্যাঙ্কার-ই) হল ফোর্থ জেনারেশন প্লাস প্লাস ক্যাটাগরির যুদ্ধবিমান। টুইন ইঞ্জিনে বলীয়ান, যুদ্ধে পারদর্শী মাল্টি-ফাংশানাল ফাইটার জেটটিতে রয়েছে টুইন এ এল-১১৭ টার্বোফান ইঞ্জিন। আর এই ইঞ্জিনের কারণেই নয়া জেটটি চীনের এত পছন্দ। বেইজিং গত কয়েকবছর ধরেই ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমানে লাগানোর মতো উপযুক্ত ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই মনের মতো হচ্ছে না। চীনের ফিফথ জেনারেশন প্রোটোটাইপ মডেল “দ্য চেংদু জে-২০” ও “শেনইয়াং জে-৩১” ফাইটার জেটের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন চাই বেজিংয়ের। এই দুটি বিমানই এখন উড়ছে রাশিয়ার পুরানো ইঞ্জিনের দৌলতে।