শিরোনাম :
Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল Logo আমরণ অনশনে বসেছেন হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবি

ফল, নাকি ফলের রস? কোনটি বেশি ভালো…

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশের বাইরে থেকে এক প্রিয়জন জিজ্ঞেস করলেন, এ দেশে খুব ভালো ফলের রস বা জুস পাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের রোগীর সেটা গ্রহণ করা ঠিক হবে কি? যদি সেই জুসে ‘নো অ্যাডেড সুগার’ লেখা থাকে?

 আসুন, জেনে নিই গোটা ফল ভালো, নাকি ফলের রস বানিয়ে পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর। বাজারজাত করা ফলের রসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রুকটোজ সিরাপ মেশানো হয়। কেউ কেউ মনে করেন, ফ্রুকটোজ হয়তো গ্লুকোজের মতো ক্ষতিকর নয়। এই ধারণা ভুল। ফ্রুকটোজও সহজ শর্করা বা চিনি, যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ‘নো অ্যাডেড সুগার’ লেবেল লাগানো থাকলেও জুসে কিন্তু ফলের চেয়ে ক্যালরি ও শর্করা বেশি। এমনকি যদি আপনি বাড়িতে তাজা ফল চিপে বা ব্লেন্ড করে জুস বানান এবং তাতে কোনো বাড়তি চিনি না মেশান—তারপরও। কীভাবে? গোটা ফলে যে ফাইবার বা আঁশ থাকে, তা ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কমিয়ে দেয়। বেশি আঁশ থাকার কারণে ফলের শর্করা রক্তে সহজে মেশে না বা সহজেই রক্তে শর্করা বাড়ায় না। কিন্তু জুসে এই আঁশ থাকে না। পড়ে থাকে কেবল ফলের চিনি। যেমন এক গ্লাস বা ২৫০ মিলিলিটার জুসে ১০ চামচের মতো চিনি থাকতে পারে, যদিও আপনি তাতে কোনো চিনি মেশাননি। কমলার কোয়াগুলোর পাতলা সাদা আবরণীতে আছে আঁশ, ফ্ল্যাভনয়েড নামের উপাদান। আপনি যখন তা চিপে কেবল রস বের করে নিলেন, তখন রইল বাকি কেবল চিনিটুকু। এ ছাড়া এক গ্লাস কমলার রস বানাতে পাঁচ থেকে ছয়টি কমলা লাগবে আপনার। সেটা আপনার জন্য একটু বেশি হয়ে যায় বৈকি, বিশেষ করে যদি ডায়াবেটিস থাকে। শুধু ডায়াবেটিসের রোগী কেন, যারা ক্যালরি মেপে খেতে চান, তাঁদেরও গোটা ফলই খাওয়া ভালো। কেন, তা জেনে নেওয়া যাক।

একটি কমলা: ৬২.৯ ক্যালরি, এক গ্লাস তাজা কমলার রস: ১১০ ক্যালরি

একটি আপেল: ৮৭.৯ ক্যালরি, এক গ্লাস আপেলের জুস: ১২০ ক্যালরি

এক গ্লাস স্ট্রবেরি মিল্কশেক: ১৯৮ ক্যালরি

এক গ্লাস কোমল পানীয়: ১৩৮ ক্যালরি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী

ফল, নাকি ফলের রস? কোনটি বেশি ভালো…

আপডেট সময় : ০২:১৩:৩১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দেশের বাইরে থেকে এক প্রিয়জন জিজ্ঞেস করলেন, এ দেশে খুব ভালো ফলের রস বা জুস পাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের রোগীর সেটা গ্রহণ করা ঠিক হবে কি? যদি সেই জুসে ‘নো অ্যাডেড সুগার’ লেখা থাকে?

 আসুন, জেনে নিই গোটা ফল ভালো, নাকি ফলের রস বানিয়ে পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর। বাজারজাত করা ফলের রসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্রুকটোজ সিরাপ মেশানো হয়। কেউ কেউ মনে করেন, ফ্রুকটোজ হয়তো গ্লুকোজের মতো ক্ষতিকর নয়। এই ধারণা ভুল। ফ্রুকটোজও সহজ শর্করা বা চিনি, যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ‘নো অ্যাডেড সুগার’ লেবেল লাগানো থাকলেও জুসে কিন্তু ফলের চেয়ে ক্যালরি ও শর্করা বেশি। এমনকি যদি আপনি বাড়িতে তাজা ফল চিপে বা ব্লেন্ড করে জুস বানান এবং তাতে কোনো বাড়তি চিনি না মেশান—তারপরও। কীভাবে? গোটা ফলে যে ফাইবার বা আঁশ থাকে, তা ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কমিয়ে দেয়। বেশি আঁশ থাকার কারণে ফলের শর্করা রক্তে সহজে মেশে না বা সহজেই রক্তে শর্করা বাড়ায় না। কিন্তু জুসে এই আঁশ থাকে না। পড়ে থাকে কেবল ফলের চিনি। যেমন এক গ্লাস বা ২৫০ মিলিলিটার জুসে ১০ চামচের মতো চিনি থাকতে পারে, যদিও আপনি তাতে কোনো চিনি মেশাননি। কমলার কোয়াগুলোর পাতলা সাদা আবরণীতে আছে আঁশ, ফ্ল্যাভনয়েড নামের উপাদান। আপনি যখন তা চিপে কেবল রস বের করে নিলেন, তখন রইল বাকি কেবল চিনিটুকু। এ ছাড়া এক গ্লাস কমলার রস বানাতে পাঁচ থেকে ছয়টি কমলা লাগবে আপনার। সেটা আপনার জন্য একটু বেশি হয়ে যায় বৈকি, বিশেষ করে যদি ডায়াবেটিস থাকে। শুধু ডায়াবেটিসের রোগী কেন, যারা ক্যালরি মেপে খেতে চান, তাঁদেরও গোটা ফলই খাওয়া ভালো। কেন, তা জেনে নেওয়া যাক।

একটি কমলা: ৬২.৯ ক্যালরি, এক গ্লাস তাজা কমলার রস: ১১০ ক্যালরি

একটি আপেল: ৮৭.৯ ক্যালরি, এক গ্লাস আপেলের জুস: ১২০ ক্যালরি

এক গ্লাস স্ট্রবেরি মিল্কশেক: ১৯৮ ক্যালরি

এক গ্লাস কোমল পানীয়: ১৩৮ ক্যালরি