শিরোনাম :
Logo খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ Logo পঞ্চগড়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন। Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস

এবার কাশ্মীরে প্রবেশের হুঙ্কার চীনের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সিকিমের ডোকালাম ইস্যুতে ভারত-চীন দ্বন্দ্ব চরমে এমন পরিস্থিতিতে এবার ভারতকে কাশ্মীর-উত্তরাখন্ড অঞ্চলে প্রবেশের হুমকি দিল চীন।

সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে ভারতকে হুশিয়ারির পর এবার তাদের হুমকি ‘আমরা যদি উত্তরাখন্ড বা কাশ্মীরে ঢুকে পড়ি তখন কী হবে?’ তবে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চীনের হুমকির কোনও তোয়াক্কাই করেনি ভারত।

প্রায় দু’মাস ধরে সিকিম সেক্টরের ডোকালামে মুখোমুখি অবস্থান করছে চীন এবং ভারতের সেনারা। বিতর্কিত ওই অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণে চীনকে বাধা দিয়ে আসছে ভারত। অন্যদিকে চীনের দাবি ওই অঞ্চলে নিজেদের এলাকাতেই রাস্তা নির্মাণ করছিল তারা। এদিকে, ভুটান বলছে ডোকালাম তাদের। কিন্তু চীন সেখানে ভুটানের আঞ্চলিক সীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাউন্ডারি অ্যান্ড ওশেন অ্যাফেয়ার্সের উপ-মহাপরিচালক ওয়াং ওয়েনলি বলেন, ‘যদি সেখানে একজন মাত্রও ভারতীয় সেনা থাকে তাহলেও সেটা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক ভূখণ্ডে প্রবেশাধিকার লঙ্ঘন করছে।

অপরদিকে চীনের অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সব সময়ই ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী ভারত। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য আমরা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক পথেই যোগাযোগের চেষ্টা করব।

ভারতের বিরুদ্ধে চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ বিষয়ে ওয়াংকে প্রশ্ন করা হলে ওয়াং বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে, পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) এবং চীনা সরকারের নিজেদের সংকল্প রয়েছে। যদি ভারতের পক্ষ থেকে ভুল পথ বেছে নেয়াও হয় তখনও নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে সঠিক পথটিই বেছে নেব আমরা।

তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই পরিস্কার যে, চীনের নিজস্ব অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। তাই তাদেরকেই সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রমিন, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ

এবার কাশ্মীরে প্রবেশের হুঙ্কার চীনের !

আপডেট সময় : ১১:১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সিকিমের ডোকালাম ইস্যুতে ভারত-চীন দ্বন্দ্ব চরমে এমন পরিস্থিতিতে এবার ভারতকে কাশ্মীর-উত্তরাখন্ড অঞ্চলে প্রবেশের হুমকি দিল চীন।

সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে ভারতকে হুশিয়ারির পর এবার তাদের হুমকি ‘আমরা যদি উত্তরাখন্ড বা কাশ্মীরে ঢুকে পড়ি তখন কী হবে?’ তবে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চীনের হুমকির কোনও তোয়াক্কাই করেনি ভারত।

প্রায় দু’মাস ধরে সিকিম সেক্টরের ডোকালামে মুখোমুখি অবস্থান করছে চীন এবং ভারতের সেনারা। বিতর্কিত ওই অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণে চীনকে বাধা দিয়ে আসছে ভারত। অন্যদিকে চীনের দাবি ওই অঞ্চলে নিজেদের এলাকাতেই রাস্তা নির্মাণ করছিল তারা। এদিকে, ভুটান বলছে ডোকালাম তাদের। কিন্তু চীন সেখানে ভুটানের আঞ্চলিক সীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।

এদিকে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাউন্ডারি অ্যান্ড ওশেন অ্যাফেয়ার্সের উপ-মহাপরিচালক ওয়াং ওয়েনলি বলেন, ‘যদি সেখানে একজন মাত্রও ভারতীয় সেনা থাকে তাহলেও সেটা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক ভূখণ্ডে প্রবেশাধিকার লঙ্ঘন করছে।

অপরদিকে চীনের অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সব সময়ই ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী ভারত। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য আমরা চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক পথেই যোগাযোগের চেষ্টা করব।

ভারতের বিরুদ্ধে চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে এ বিষয়ে ওয়াংকে প্রশ্ন করা হলে ওয়াং বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে, পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) এবং চীনা সরকারের নিজেদের সংকল্প রয়েছে। যদি ভারতের পক্ষ থেকে ভুল পথ বেছে নেয়াও হয় তখনও নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে সঠিক পথটিই বেছে নেব আমরা।

তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই পরিস্কার যে, চীনের নিজস্ব অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। তাই তাদেরকেই সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।