শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে মাসব্যাপী খাবার পানি-স্যালাইন বিতরণ Logo চাঁদপুরে জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে ৫৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ Logo জাবি ভর্তিতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল নেতা হিরন Logo ফেসবুকে চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রির বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান, টাকা নিয়েই করে দিচ্ছে ব্লক Logo বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহকে আইইবি স্বীকৃতি প্রদানের দাবি Logo গজারিয়ার গুয়াগাছিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার,আটক ৩ Logo চুয়াডাঙ্গায় নিখোঁজের ৩ দিন ভুট্টা ক্ষেতে পড়েছিল আলমগীরের মরদেহ Logo জীবননগরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে গাঁজাসহ আটক ১ Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক দশক পূর্তি উদযাপন  Logo চোখের চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুল

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ১ জানুয়ারি!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আরেক মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। বুধবার এ মামলারও তারিখ ধার্য ছিল। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে মাসব্যাপী খাবার পানি-স্যালাইন বিতরণ

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ১ জানুয়ারি!

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আরেক মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। বুধবার এ মামলারও তারিখ ধার্য ছিল। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।