শিরোনাম :
Logo কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ Logo প্রধান উপদেষ্টা ও কোসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত Logo ইসরায়েল মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে: ট্রাম্প Logo শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগই ফ্যাসিবাদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল: শফিকুর রহমান Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নির্বাচনে সাইদ হোসেন অপু চৌধুরীর মনোনয়নপত্র জমা Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত Logo ইবিতে জুলাই-৩৬ পরেও আবার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ২৫ জুন শুরু হচ্ছে রাবির কলা অনুষদের ৩য় আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের ডিবি টিমকে চাঁদপুর জেলা পুলিশের পুরস্কার প্রদান Logo কচুয়ায় মিলন হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড, একজনের যাবজ্জীবন

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ১ জানুয়ারি!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আরেক মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। বুধবার এ মামলারও তারিখ ধার্য ছিল। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা ১ জানুয়ারি!

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৫৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা পুঁতে রাখার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির প্রাক্তন কর্মকর্তা মুন্সী আতিকুর রহমানকে আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আরেক মামলা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলারও আসামি মুফতি হান্নান। বুধবার এ মামলারও তারিখ ধার্য ছিল। এজন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. এহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহনেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মুফতি আব্দুল হান্নান আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সেখানে তিনি তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করেন। তিনি দেশে ফিরে হরকাতুল জেহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংগঠনের সদস্য হন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য গোপালগঞ্জের বিসিক এলাকায় অবৈধভাবে সোনার বাংলা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি সাবানের কারখানা স্থাপন করেন। সে কারখানায় অন্য জঙ্গিদের নিয়োগ দেন এবং সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সাবান তৈরির কাঁচামাল আনার আড়ালে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীরা বোমা তৈরির উপকরণ কারখানায় এনে রাখতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসবেন, এ কথা শুনে মুফতি হান্নানসহ আসামিরা সাবান কারখানায় শক্তিশালী বোমা তৈরি করেন। তৈরির পর ২০০০ সালের ১৯ জুলাই সাবান কারখানার গাড়িতে করে কোটালীপাড়া এলাকায় নিয়ে রাতের আধারে পুঁতে রাখেন।