কক্সবাজারে পাহাড় ধসে দু’টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • ৭১২ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার শহরের আশুরঘোনায় পাহাড় ধসে দুটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।শুক্রবার (৪ জুলাই) গভীর রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি মোহাম্মদ আজিম উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির। পাহাড় ধসে ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায় এবং আসবাবপত্র মাটির নিচে চাপা পড়ে।

ভুক্তভোগী আজিম উল্লাহ বলেন, “ভারি বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ ঘরের চালের ওপর একটি বড় পাথর পড়ে। তখনই আমরা টের পাই বিপদ আসছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড় ধসে পুরো ঘরের ওপর পড়ে। প্রাণে বাঁচলেও ঘরের সব কিছুই ধ্বংস হয়েছে।”

স্থানীয় মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে আগেই তারা সতর্ক হয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান, ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

সাবেক পৌর কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, “প্রতি বছর বর্ষা এলেই কক্সবাজারে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগাম সতর্কতা জারি রাখা হয় এবং প্রশাসন এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।”

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতি বর্ষায় ভারি বৃষ্টিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এমন ধসের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকাগুলোতে ঝুঁকি আরও বেশি, তাই আগাম সতর্কতা খুবই জরুরি।
এব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, “পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে দু’টি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজার শহরের আশুরঘোনায় পাহাড় ধসে দুটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।শুক্রবার (৪ জুলাই) গভীর রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া এলাকায় এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি মোহাম্মদ আজিম উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির। পাহাড় ধসে ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায় এবং আসবাবপত্র মাটির নিচে চাপা পড়ে।

ভুক্তভোগী আজিম উল্লাহ বলেন, “ভারি বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ ঘরের চালের ওপর একটি বড় পাথর পড়ে। তখনই আমরা টের পাই বিপদ আসছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড় ধসে পুরো ঘরের ওপর পড়ে। প্রাণে বাঁচলেও ঘরের সব কিছুই ধ্বংস হয়েছে।”

স্থানীয় মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির কারণে আগেই তারা সতর্ক হয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান, ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

সাবেক পৌর কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু বলেন, “প্রতি বছর বর্ষা এলেই কক্সবাজারে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগাম সতর্কতা জারি রাখা হয় এবং প্রশাসন এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।”

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতি বর্ষায় ভারি বৃষ্টিতে কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এমন ধসের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকাগুলোতে ঝুঁকি আরও বেশি, তাই আগাম সতর্কতা খুবই জরুরি।
এব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, “পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”