শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

টয়লেটের চেয়ে বেশি জীবাণু কিবোর্ডে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০১:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস শরীর সুস্থ থাকা না থাকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। টয়লেট সিটে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার থেকে প্রায় ১৫০ গুণ বেশি জীবাণু বাসা বেঁধে থাকে কম্পিউটার কিবোর্ডে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আর এই পরিমাণ জীবাণুর মধ্যেই সব সময় আমাদের আঙুল চলতেই থাকে। সেগুলি মুখের অন্দরে প্রবেশ করে সরাসরি চলে যায় শরীরের ভিতরে। তারপর ধীরে ধীরে শরীরকে কোরে তোলে অসুস্থ।

ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া
এই ব্যাকটেরিয়াটি একবার যদি শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলে বেজায় বিপদ! কারণ এর কারণে রক্ত পায়খানা, ডায়রিয়া, কিডনি ফেইলিওর, এমনকি অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

স্টেফিলোকক্কাস অ্যারিয়াস
ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ, ফলিকিফলিটিস, কার্বোঙ্কল, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, অস্টিওমায়ালাইটিস, এন্ডোকার্ডাইটিস, টক্সিক শক সিনড্রন, সেপসিস প্রভৃতি এই জীবণুটির কারণে হতে পারে। রোগের নামগুলো দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন সবকটিই কিন্তু বেশ জটিল এবং কষ্টদায়ক রোগ।

কিবোর্ডে এত ব্যাকটেরিয়া আসে কোথা থেকে?
সমীক্ষা বলছে কাজের চাপের অজুহাতে অনেকেই ক্যান্টিনে খেতে যান না। পরিবর্তে কাজ করতে করতে ডেস্কেই লাঞ্চ সেরে ফেলেন। এমনটা করার সময় খাবারের টুকরো কিবোর্ডের মধ্যে পড়তে থাকে। আর সেগুলি জমতে জমতে এক সময় গিয়ে নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যে পরিণত হয়। ফলে বাড়তে শুরু করে জীবাণুদের সংখ্যা। এক সময়ে গিয়ে এই সংখ্যাটা কয়েক লক্ষে গিয়ে পৌঁছায়।

সিবিটি নাগেটস এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের কিবোর্ড একটি সাধারণ টয়লেটের সিটের তুলনায় ২০ হাজার গুণ নোংরা। এ তালিকায় রয়েছে স্মার্টফোনও। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের কিবোর্ড সাধারণ টয়লেটের সিটের তুলনায় নয় হাজার গুণ বেশি নোংরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

টয়লেটের চেয়ে বেশি জীবাণু কিবোর্ডে !

আপডেট সময় : ০১:০১:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস শরীর সুস্থ থাকা না থাকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। টয়লেট সিটে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার থেকে প্রায় ১৫০ গুণ বেশি জীবাণু বাসা বেঁধে থাকে কম্পিউটার কিবোর্ডে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আর এই পরিমাণ জীবাণুর মধ্যেই সব সময় আমাদের আঙুল চলতেই থাকে। সেগুলি মুখের অন্দরে প্রবেশ করে সরাসরি চলে যায় শরীরের ভিতরে। তারপর ধীরে ধীরে শরীরকে কোরে তোলে অসুস্থ।

ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া
এই ব্যাকটেরিয়াটি একবার যদি শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলে বেজায় বিপদ! কারণ এর কারণে রক্ত পায়খানা, ডায়রিয়া, কিডনি ফেইলিওর, এমনকি অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

স্টেফিলোকক্কাস অ্যারিয়াস
ত্বকের সংক্রমণ, ব্রণ, ফলিকিফলিটিস, কার্বোঙ্কল, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, অস্টিওমায়ালাইটিস, এন্ডোকার্ডাইটিস, টক্সিক শক সিনড্রন, সেপসিস প্রভৃতি এই জীবণুটির কারণে হতে পারে। রোগের নামগুলো দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন সবকটিই কিন্তু বেশ জটিল এবং কষ্টদায়ক রোগ।

কিবোর্ডে এত ব্যাকটেরিয়া আসে কোথা থেকে?
সমীক্ষা বলছে কাজের চাপের অজুহাতে অনেকেই ক্যান্টিনে খেতে যান না। পরিবর্তে কাজ করতে করতে ডেস্কেই লাঞ্চ সেরে ফেলেন। এমনটা করার সময় খাবারের টুকরো কিবোর্ডের মধ্যে পড়তে থাকে। আর সেগুলি জমতে জমতে এক সময় গিয়ে নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্যে পরিণত হয়। ফলে বাড়তে শুরু করে জীবাণুদের সংখ্যা। এক সময়ে গিয়ে এই সংখ্যাটা কয়েক লক্ষে গিয়ে পৌঁছায়।

সিবিটি নাগেটস এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের কিবোর্ড একটি সাধারণ টয়লেটের সিটের তুলনায় ২০ হাজার গুণ নোংরা। এ তালিকায় রয়েছে স্মার্টফোনও। গবেষকরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের কিবোর্ড সাধারণ টয়লেটের সিটের তুলনায় নয় হাজার গুণ বেশি নোংরা।