শিরোনাম :
Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস Logo যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র বজ্রপাত ও শক্তিশালী কালবৈশাখীর আশঙ্কা Logo তদন্ত শেষে জানা যাবে কারা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল: আইজিপি Logo ইশরাকের গেজেট প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা করেনি ইসি : আসিফ নজরুল Logo শেখ হাসিনার বিচার প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

পিলখানা হত্যা: সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পিলখানায় বহুল আলোচিত বিডিআর হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন ও মেয়াদভিত্তিক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজাবৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি  আবেদন  খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও জাহিদ সরোয়ার কাজল।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে আপিল করার যথাযথ যুক্তি দেখাতে না পারায় বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ সরকারের তিন আপিল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল সেই আপিলের শুনানি নিয়ে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

নিম্ন আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেন। এদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৩৭ জন ফাঁসির আসামি আপিল করে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সবাই আপিল করলেও রাষ্ট্রপক্ষ শুরুতে কোনো আপিল করেনি। কিন্তু বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে তিনটি আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়ামাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়। বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। মামলার আসামি ছিল ৮৪৬জন। এ মামলায় উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ বিভিন্নমেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে আরো ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই

পিলখানা হত্যা: সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ !

আপডেট সময় : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পিলখানায় বহুল আলোচিত বিডিআর হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন ও মেয়াদভিত্তিক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজাবৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি  আবেদন  খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও জাহিদ সরোয়ার কাজল।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে আপিল করার যথাযথ যুক্তি দেখাতে না পারায় বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ সরকারের তিন আপিল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল সেই আপিলের শুনানি নিয়ে খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

নিম্ন আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেন। এদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ ছাড়া ১৩৭ জন ফাঁসির আসামি আপিল করে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সবাই আপিল করলেও রাষ্ট্রপক্ষ শুরুতে কোনো আপিল করেনি। কিন্তু বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে তিনটি আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্র্যাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়ামাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়। বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। মামলার আসামি ছিল ৮৪৬জন। এ মামলায় উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ বিভিন্নমেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে আরো ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।