ঝিনাইদহে আনোয়ারা খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুন ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহর পাড়ায় নিহত আনোয়ারা খাতুনের খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পাওয়ানা টাকা চাইতে গিয়ে খুন হন আনোয়ারা। নিখোঁজের ৩ দিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে আনোয়ারার লাশ উদ্ধারের পর আটক নারী পারুলা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দীতে এ সব তথ্য জানায়। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামানের কাছে পারুলা বেগম হত্যার কথা স্বীকার করে এ জবানবন্দী দেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, উপ-শহর পাড়ার আব্দুর রহিমের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে পারুলা বেগমের বাসায় যান। সেখানে টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে ঝগড়া হলে পারুলার ছেলে আনোয়ারাকে স্বজোওে চড় ও থাপ্পড় মারে। এরপর আনোয়ারাকে ডাকাডাকি করে সাড়া মেলে না। আনোয়ারার মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে তাকে দড়ি দিয়ে হাত পা বেধে পলিথিন দিয়ে খাটের নিচে ঢেকে রাখে।

লাশ পচে গন্ধ বের হতে থাকলে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশে একটি সেফটি ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখে পারুলা। এদিকে বোন নিখোঁজের পর আনোয়ারা বেগমের ছোট ভাই শাহজাহান আলী ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধাণর ডায়েরী করেন। যার নং-১৪৬৩। পওে গত শুক্রবার সকালে উপ-শহরপাড়ার খাইরুল মাষ্টারের সেফটিক ট্যাংক থেকে আনোয়ারার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে আনোয়ারা খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৪২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুন ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ  ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহর পাড়ায় নিহত আনোয়ারা খাতুনের খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পাওয়ানা টাকা চাইতে গিয়ে খুন হন আনোয়ারা। নিখোঁজের ৩ দিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে আনোয়ারার লাশ উদ্ধারের পর আটক নারী পারুলা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দীতে এ সব তথ্য জানায়। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামানের কাছে পারুলা বেগম হত্যার কথা স্বীকার করে এ জবানবন্দী দেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, উপ-শহর পাড়ার আব্দুর রহিমের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে পারুলা বেগমের বাসায় যান। সেখানে টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে ঝগড়া হলে পারুলার ছেলে আনোয়ারাকে স্বজোওে চড় ও থাপ্পড় মারে। এরপর আনোয়ারাকে ডাকাডাকি করে সাড়া মেলে না। আনোয়ারার মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে তাকে দড়ি দিয়ে হাত পা বেধে পলিথিন দিয়ে খাটের নিচে ঢেকে রাখে।

লাশ পচে গন্ধ বের হতে থাকলে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশে একটি সেফটি ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখে পারুলা। এদিকে বোন নিখোঁজের পর আনোয়ারা বেগমের ছোট ভাই শাহজাহান আলী ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধাণর ডায়েরী করেন। যার নং-১৪৬৩। পওে গত শুক্রবার সকালে উপ-শহরপাড়ার খাইরুল মাষ্টারের সেফটিক ট্যাংক থেকে আনোয়ারার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।