শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

শিশুকে যে খাবার খাওয়াবেন না !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:১৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিশুকে কী খাওয়াবেন, কী খাওয়াবেন না- এ নিয়ে বাবা-মায়ের দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। বিষয়টা আসলেই জরুরি। কারণ অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো বাচ্চারা সহজে হজম করতে পারে না। সেগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই এ বিষয়ে একটা তালিকা তৈরি রাখলে অন্যরাও তা অনুসরণ করতে পারে।
মধু
বাচ্চার ১ বছর হওয়ার আগে দেয়া উচিত না। অনেক মা- দাদীরা বাচ্চার জন্মের পরই মুখে মধু দিয়ে দেন। ৬ মাস পর্যন্ত মধু তো দূরের কথা কোন খাবার শিশুর মুখে দেয়া যাবে না। কিন্তু মধু ১ বছর পর্যন্ত  দেয়া যাবে না। কারণ শিশুরা মধু হজম করতে পারে না।  ১ বছর পর হজম শক্তি বাড়ে এবং সে অনেক খাবার সহ্য করতে পারে।

লবন
ছোট বাচ্চাদের কিডনি লবন ও সোডিয়াম সহ্য করতে পারে না। তাই শিশুর খাবারে বাইরের লবন না মেশানোই ভাল। লক্ষ্য রাখতে হবে, এমন অনেক খাবার আছে যাতে প্রচুর পরিমান সোডিয়াম থাকে। সেই খাবারগুলো বাচ্চাকে দেয়া যাবে না। ১ বছর পরে তার খাবারে অল্প অল্প লবন মেশাতে পারেন।
চিনি
শিশু খাদ্যে চিনি মেশানোর দরকার নেই। শিশুকে মিষ্টি স্বাদ অনুভবের জন্য মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে দিন। কারণ অতিরিক্ত চিনি দাঁতে ক্ষয়ের পরিমান বাড়াতে থাকে।

টক ফল
১ বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে টক ফল দেয়া উচিত না। কারণ টক জাতীয় ফলে বিভিন্ন রকম এসিড থাকে যা বাচ্চারা হজম করতে পারে না। তাই বাচ্চাদেরকে মিষ্টি ফল দেয়া উচিত।

গরুর দুধ
১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে গরুর দুধ দেয়া যাবে না। কারণ গরুর দুধে আমিষের যে অনুপাত রয়েছে তা মায়ের দুধ থেকে ভিন্ন এবং তা বাচ্চার হজম হয় না। শুধু তাই না, গরুর দুধে যে মিনারেলস আছে তা থেকে বাচ্চার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। পেট খারাপ হতে পারে।

পিনাট বাটার
পিনাট বাটার যে বাদাম থেকে বানানো হয় তা থেকে অনেক বাচ্চার মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বিভিন্ন রকম বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারগুলোও এ সময় না খাওয়ানো ভালো।

চকলেট
বাচ্চারা খেতে খুব পছন্দ করলেও এতে ব্যবহার করা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে। সাথে এ থেকে অনেক শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আর সাথে দাঁতের সমস্যার জন্য অনেকক্ষেত্রে চকলেট দায়ী।

গম
যদি বাচ্চার পরিবারে কারো গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই শিশুকে গমের তৈরি কোন খাবার দেয়া যাবে না। কারণ এই গমের গ্লুটেন থেকে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

শিশুকে যে খাবার খাওয়াবেন না !

আপডেট সময় : ০৭:০৭:১৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শিশুকে কী খাওয়াবেন, কী খাওয়াবেন না- এ নিয়ে বাবা-মায়ের দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। বিষয়টা আসলেই জরুরি। কারণ অনেক খাবার আছে যে খাবারগুলো বাচ্চারা সহজে হজম করতে পারে না। সেগুলো শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই এ বিষয়ে একটা তালিকা তৈরি রাখলে অন্যরাও তা অনুসরণ করতে পারে।
মধু
বাচ্চার ১ বছর হওয়ার আগে দেয়া উচিত না। অনেক মা- দাদীরা বাচ্চার জন্মের পরই মুখে মধু দিয়ে দেন। ৬ মাস পর্যন্ত মধু তো দূরের কথা কোন খাবার শিশুর মুখে দেয়া যাবে না। কিন্তু মধু ১ বছর পর্যন্ত  দেয়া যাবে না। কারণ শিশুরা মধু হজম করতে পারে না।  ১ বছর পর হজম শক্তি বাড়ে এবং সে অনেক খাবার সহ্য করতে পারে।

লবন
ছোট বাচ্চাদের কিডনি লবন ও সোডিয়াম সহ্য করতে পারে না। তাই শিশুর খাবারে বাইরের লবন না মেশানোই ভাল। লক্ষ্য রাখতে হবে, এমন অনেক খাবার আছে যাতে প্রচুর পরিমান সোডিয়াম থাকে। সেই খাবারগুলো বাচ্চাকে দেয়া যাবে না। ১ বছর পরে তার খাবারে অল্প অল্প লবন মেশাতে পারেন।
চিনি
শিশু খাদ্যে চিনি মেশানোর দরকার নেই। শিশুকে মিষ্টি স্বাদ অনুভবের জন্য মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে দিন। কারণ অতিরিক্ত চিনি দাঁতে ক্ষয়ের পরিমান বাড়াতে থাকে।

টক ফল
১ বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে টক ফল দেয়া উচিত না। কারণ টক জাতীয় ফলে বিভিন্ন রকম এসিড থাকে যা বাচ্চারা হজম করতে পারে না। তাই বাচ্চাদেরকে মিষ্টি ফল দেয়া উচিত।

গরুর দুধ
১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে গরুর দুধ দেয়া যাবে না। কারণ গরুর দুধে আমিষের যে অনুপাত রয়েছে তা মায়ের দুধ থেকে ভিন্ন এবং তা বাচ্চার হজম হয় না। শুধু তাই না, গরুর দুধে যে মিনারেলস আছে তা থেকে বাচ্চার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। পেট খারাপ হতে পারে।

পিনাট বাটার
পিনাট বাটার যে বাদাম থেকে বানানো হয় তা থেকে অনেক বাচ্চার মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বিভিন্ন রকম বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবারগুলোও এ সময় না খাওয়ানো ভালো।

চকলেট
বাচ্চারা খেতে খুব পছন্দ করলেও এতে ব্যবহার করা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে। সাথে এ থেকে অনেক শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আর সাথে দাঁতের সমস্যার জন্য অনেকক্ষেত্রে চকলেট দায়ী।

গম
যদি বাচ্চার পরিবারে কারো গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে তবে সেই শিশুকে গমের তৈরি কোন খাবার দেয়া যাবে না। কারণ এই গমের গ্লুটেন থেকে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।