৩২ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বি ও সি আক্রান্ত !

  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বে প্রায় ৩২ কোটি মানুষ ঘাতকব্যাধি হেপাটাইটিস বি ও সি-তে আক্রান্ত। ভাইরাসজনিত এ রোগে মৃত্যুহার ক্রমাগত বেড়েই চলছে। ২০১৫ সালে এ রোগে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। ২০০০ থেকে ২০১৪ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ তাদের সংক্রমণ সম্পর্কে জানে। অন্যদিকে মাত্র ২০ শতাংশ হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত মানুষ নিজেদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। বিষয়টিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি উল্লেখ করে ‘জরুরি পদক্ষেপ’ গ্রহণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হেপাটাইটিস বি ও সি-এর কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার হতে পারে। রোগটি সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে হেপাটাইটিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কী কারণে এ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে, কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায় এগুলো অধিকাংশ মানুষই জানে না। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হেপাটাইটিসের লক্ষণ খুব বেশি স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় না। যখন বোঝা যায় তখন রোগ অনেক জটিল পরিস্থিতিতে চলে যায়।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে হেপাটাইটিস বি-এর প্রাদুর্ভাব বেশি, যার মধ্যে রয়েছে চীন, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ‘হেপাটাইটিস’ আক্রান্ত ৮০ শতাংশ মানুষকে চিকিৎসা সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩২ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস বি ও সি আক্রান্ত !

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বে প্রায় ৩২ কোটি মানুষ ঘাতকব্যাধি হেপাটাইটিস বি ও সি-তে আক্রান্ত। ভাইরাসজনিত এ রোগে মৃত্যুহার ক্রমাগত বেড়েই চলছে। ২০১৫ সালে এ রোগে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। ২০০০ থেকে ২০১৪ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হেপাটাইটিস বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ তাদের সংক্রমণ সম্পর্কে জানে। অন্যদিকে মাত্র ২০ শতাংশ হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত মানুষ নিজেদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। বিষয়টিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি উল্লেখ করে ‘জরুরি পদক্ষেপ’ গ্রহণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হেপাটাইটিস বি ও সি-এর কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার হতে পারে। রোগটি সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে হেপাটাইটিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কী কারণে এ রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে, কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায় এগুলো অধিকাংশ মানুষই জানে না। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হেপাটাইটিসের লক্ষণ খুব বেশি স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় না। যখন বোঝা যায় তখন রোগ অনেক জটিল পরিস্থিতিতে চলে যায়।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে হেপাটাইটিস বি-এর প্রাদুর্ভাব বেশি, যার মধ্যে রয়েছে চীন, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী ‘হেপাটাইটিস’ আক্রান্ত ৮০ শতাংশ মানুষকে চিকিৎসা সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।