সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে তালাক !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মোবাইল-হোয়াটস অ্যাপের পর এবার দেখা গেল তালাকের নতুন নিদর্শন। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভারতীয় স্ত্রীকে তালাক দিলেন সৌদি প্রবাসী স্বামী। ওই ভারতীয় মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন সৌদি আরবের একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।

গত মাসের চার তারিখে হায়দরাবাদের একটি উর্দু দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের স্ত্রীকে তালাকের কথা জানিয়ে দেন মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন। বিজ্ঞাপন দেখে হতচকিত হয়ে যান তালাকপ্রাপ্ত মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের স্ত্রী। ওই ঘটনার দিন ১৫ পরে স্বামীর আইনজীবী তাকে ফোন করে। ২০১৫ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকেই তারা সৌদি আরবে বসবাস করছিলেন। গত বছর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মাস দুয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে হায়দরাবাদে বাপের বাড়িতে চলে আসেন ওই নারী। সপ্তাহ খানেক পর থেকে স্ত্রীর ফোন ধরছিলেন না মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন। এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই নারীকে মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। দশ মাসের মেয়ে থাকতেও আচমকা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের তালাক পেয়ে খুবই ভেঙে পড়েছেন ওই নারী।

মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে হায়দরাবাদের পুলিশ। ২০ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপরে মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন অত্যাচার চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা এস গঙ্গাধর। সূত্র: কলকাতা ২৪x৭

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে স্ত্রীকে তালাক !

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৩২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মোবাইল-হোয়াটস অ্যাপের পর এবার দেখা গেল তালাকের নতুন নিদর্শন। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভারতীয় স্ত্রীকে তালাক দিলেন সৌদি প্রবাসী স্বামী। ওই ভারতীয় মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন সৌদি আরবের একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।

গত মাসের চার তারিখে হায়দরাবাদের একটি উর্দু দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের স্ত্রীকে তালাকের কথা জানিয়ে দেন মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন। বিজ্ঞাপন দেখে হতচকিত হয়ে যান তালাকপ্রাপ্ত মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের স্ত্রী। ওই ঘটনার দিন ১৫ পরে স্বামীর আইনজীবী তাকে ফোন করে। ২০১৫ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকেই তারা সৌদি আরবে বসবাস করছিলেন। গত বছর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। মাস দুয়েক আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে হায়দরাবাদে বাপের বাড়িতে চলে আসেন ওই নারী। সপ্তাহ খানেক পর থেকে স্ত্রীর ফোন ধরছিলেন না মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন। এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই নারীকে মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। দশ মাসের মেয়ে থাকতেও আচমকা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের তালাক পেয়ে খুবই ভেঙে পড়েছেন ওই নারী।

মহম্মদ মুশতাকুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে হায়দরাবাদের পুলিশ। ২০ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীর উপরে মহম্মদ মুশতাকুদ্দিন অত্যাচার চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা এস গঙ্গাধর। সূত্র: কলকাতা ২৪x৭