১০ হাজার রুমের যে হোটেলে আজও থাকেনি কেউ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০২:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জার্মান দ্বীপ রিয়ুগেনের বাল্টিক সমুদ্রের তীরে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল। হোটেলটিতে ১০ হাজার রুম রয়েছে। প্রোরা নামের এই হোটেলটির নির্মাণ হয়েছে ৭৭ বছর আগে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এখনও পর্যন্ত এখানে কোনো অতিথি থাকেনি। সুন্দর স্থানের মধ্যে অবস্থিত এই হোটেলের প্রত্যেকটি রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়। তা সত্ত্বেও এখানে কোনো অতিথি থাকতে আসেনি।

হোটেলটি নাত্সিরা ১৯৩৬-১৯৩৯ সালের মধ্যে তৈরি করিয়েছিল। যাতে এখানে তারা আনন্দ উপভোগ করার সাথে শক্তিও বৃদ্ধি করতে পারে। হোটেল তৈরি করার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল, জার্মান কর্মচারীরা অবসর সময় কাটাতে পারবে এবং তার সাথে তারা তাদের বিচারধারা প্রচার করতে পারে।

তবে ২০১৫ সালে হোটেলের একটি ব্লক জার্মান রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ‘আইআরআইএস জিইআরডি ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে কিনে নিয়েছিল। এখানে ৪০০ হোটেল এবং ৪০০ অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণ করা হবে।

এই কমপ্লেক্সে আটটি আলাদা আলাদা ভবন রয়েছে। যা প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। সমুদ্র থেকে দূরত্ব ১৫০ মিটার আট হাউজিং ব্লকের পাশাপাশি থিয়েটার, সিনেমা, সুইমিংপুল এবং ফেস্টিভাল হল সবসময় খালি থাকে। যুদ্ধের সময়, হামবুর্গের কয়েকজন এই ব্লকগুলিতে থেকে গিয়েছিল। যুদ্ধের পর প্রোরাকে পূর্ব জার্মান সেনাবাহিনী সামরিক আউটপোস্ট রূপে ব্যবহার করেছে। ১৯৯০ সালে জার্মানির একত্রীকরণের পর এই হোটেল খালি পড়ে রয়েছে।

এই প্রকল্পের নির্মাণের জন্য দেশের প্রধান কোম্পানিগুলি যুক্ত রয়েছে। প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রোরার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সমস্ত শ্রমিকদের অস্ত্র কারখানায় পাঠানো হয়েছিল। তারপরও এই কাজ সম্পন্ন হয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১০ হাজার রুমের যে হোটেলে আজও থাকেনি কেউ !

আপডেট সময় : ০১:০২:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জার্মান দ্বীপ রিয়ুগেনের বাল্টিক সমুদ্রের তীরে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল। হোটেলটিতে ১০ হাজার রুম রয়েছে। প্রোরা নামের এই হোটেলটির নির্মাণ হয়েছে ৭৭ বছর আগে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এখনও পর্যন্ত এখানে কোনো অতিথি থাকেনি। সুন্দর স্থানের মধ্যে অবস্থিত এই হোটেলের প্রত্যেকটি রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়। তা সত্ত্বেও এখানে কোনো অতিথি থাকতে আসেনি।

হোটেলটি নাত্সিরা ১৯৩৬-১৯৩৯ সালের মধ্যে তৈরি করিয়েছিল। যাতে এখানে তারা আনন্দ উপভোগ করার সাথে শক্তিও বৃদ্ধি করতে পারে। হোটেল তৈরি করার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল, জার্মান কর্মচারীরা অবসর সময় কাটাতে পারবে এবং তার সাথে তারা তাদের বিচারধারা প্রচার করতে পারে।

তবে ২০১৫ সালে হোটেলের একটি ব্লক জার্মান রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ‘আইআরআইএস জিইআরডি ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে কিনে নিয়েছিল। এখানে ৪০০ হোটেল এবং ৪০০ অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণ করা হবে।

এই কমপ্লেক্সে আটটি আলাদা আলাদা ভবন রয়েছে। যা প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। সমুদ্র থেকে দূরত্ব ১৫০ মিটার আট হাউজিং ব্লকের পাশাপাশি থিয়েটার, সিনেমা, সুইমিংপুল এবং ফেস্টিভাল হল সবসময় খালি থাকে। যুদ্ধের সময়, হামবুর্গের কয়েকজন এই ব্লকগুলিতে থেকে গিয়েছিল। যুদ্ধের পর প্রোরাকে পূর্ব জার্মান সেনাবাহিনী সামরিক আউটপোস্ট রূপে ব্যবহার করেছে। ১৯৯০ সালে জার্মানির একত্রীকরণের পর এই হোটেল খালি পড়ে রয়েছে।

এই প্রকল্পের নির্মাণের জন্য দেশের প্রধান কোম্পানিগুলি যুক্ত রয়েছে। প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রোরার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সমস্ত শ্রমিকদের অস্ত্র কারখানায় পাঠানো হয়েছিল। তারপরও এই কাজ সম্পন্ন হয়নি।