লঞ্চে উঠতে হুড়োহুড়ি, নারী-শিশুসহ ৫ যাত্রী বুড়িগঙ্গায়, অতঃপর…

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:২৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে নারী-শিশুসহ পাঁচজন যাত্রী বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যান। তবে উপস্থিত সজাগ কয়েকজনের তাৎক্ষণিক সহায়তায় তারা সবাই অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি লঞ্চ ঘাটে ভিড়তেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে যান ওই পাঁচজন যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ও ঘাটে থাকা সহৃদয় মানুষ পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং রশি ও সিঁড়ি ব্যবহার করে তাদের লঞ্চে টেনে তোলেন।

দুর্ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি এবং সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, ট্রেন ও বাস টার্মিনালগুলোতেও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে অনেককে, যদিও এটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যানবাহনের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন। ফলে যাত্রাপথে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নজরদারি জোরদার করার কথা বললেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের সময় যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আরও কড়াকড়ি ও জনবল বাড়ানো জরুরি।

ট্যাগস :

লঞ্চে উঠতে হুড়োহুড়ি, নারী-শিশুসহ ৫ যাত্রী বুড়িগঙ্গায়, অতঃপর…

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:২৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে নারী-শিশুসহ পাঁচজন যাত্রী বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যান। তবে উপস্থিত সজাগ কয়েকজনের তাৎক্ষণিক সহায়তায় তারা সবাই অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি লঞ্চ ঘাটে ভিড়তেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে যান ওই পাঁচজন যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ও ঘাটে থাকা সহৃদয় মানুষ পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং রশি ও সিঁড়ি ব্যবহার করে তাদের লঞ্চে টেনে তোলেন।

দুর্ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি এবং সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, ট্রেন ও বাস টার্মিনালগুলোতেও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ট্রেনের ছাদে উঠে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে অনেককে, যদিও এটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যানবাহনের চেয়ে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন। ফলে যাত্রাপথে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নজরদারি জোরদার করার কথা বললেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের সময় যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আরও কড়াকড়ি ও জনবল বাড়ানো জরুরি।