‘মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায় ঈদুল আজহা’

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:০৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • ৭০৬ বার পড়া হয়েছে

দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক। মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইলকে (আ.) কুরবানি করতে উদ্যত হন। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ ও আত্মদানের এ সুমহান দৃষ্টান্ত কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ঈদুল আজহা মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়। মুসলমানরা কুরবানিকৃত পশুর মাংস গরিব আত্মীয়স্বজন ও দুঃস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক-এ হোক ঈদের চাওয়া।

‘আসুন, আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা নিজেদের ভেতর ধারণ করি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি। ঈদুল আজহার এ দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন’।

ট্যাগস :

‘মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায় ঈদুল আজহা’

আপডেট সময় : ০৬:৩১:০৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক। মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও চরম ত্যাগের অনুপম নিদর্শন। হযরত ইব্রাহিম (আ.) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাইলকে (আ.) কুরবানি করতে উদ্যত হন। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহায় পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ ও আত্মদানের এ সুমহান দৃষ্টান্ত কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ঈদুল আজহা মানুষকে শান্তি, ত্যাগ ও সাম্য শেখায়। মুসলমানরা কুরবানিকৃত পশুর মাংস গরিব আত্মীয়স্বজন ও দুঃস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সবাইকে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক-এ হোক ঈদের চাওয়া।

‘আসুন, আমরা পবিত্র ঈদুল আজহার ত্যাগের শিক্ষা নিজেদের ভেতর ধারণ করি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি। ঈদুল আজহার এ দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি প্রার্থনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন’।