হামজাদের থামাতেই বাড়তি কৌশল, সতর্ক সিঙ্গাপুর কোচ

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ছয় মাসের হতাশা, গোলশূন্যতা আর পরাজয়ের গ্লানি শেষে অবশেষে খানিকটা স্বস্তি ফিরল সিঙ্গাপুর ফুটবল দলে। পরপর ছয় ম্যাচে জয় না পাওয়ার হতাশা নিয়ে যখন ‘দ্য লায়ন্স’রা প্রায় কোণঠাসা, তখন ৫ জুন রাতে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় যেন আশার আলো দেখাল। এই জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, বরং এটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক উপলক্ষ—বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার শেষ প্রস্তুতিও বলা চলে।

সিঙ্গাপুরের এই ‘ফেরা’র গল্পের নায়ক ইখসান ফান্দি। চোটে ভুগছিলেন, মাঠের বাইরেও কাটিয়েছেন বহুদিন। সেই দুঃসময়কে বিদায় করে ফিরেছেন জাতীয় দলে, আর ফিরেই করে ফেললেন জোড়া গোল। বয়স মাত্র ২৬, কিন্তু তার কাঁধেই এখন দলটিকে টেনে তোলার বড় দায়িত্ব।

ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাস মিশে গেল একসঙ্গে। সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস তাকে উদ্ধৃত করেছে এভাবে, ‘জাতীয় দলে ফিরে আবার গোল করতে পারা দারুণ অনুভূতি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি দলকে জেতাতে পেরেছি।’

এরপর তিনি বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে সতর্ক করে দলকে, ‘যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স চালিয়ে যাই, তাহলে বাংলাদেশ ম্যাচে আমাদের কোনো সুযোগ নেই। এই দু-তিন দিনের মধ্যেই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে হবে। উন্নতির বিকল্প নেই।’

ইখসানের পারফরম্যান্সে খুশি দলের জাপানি কোচ সুতোমু ওগুরা, ‘সে শুধু ৬০ মিনিট খেলেছে, কিন্তু দুই ধরনের পরিস্থিতি থেকে গোল করেছে—ওপেন প্লে ও সেট পিস। বাংলাদেশের বিপক্ষেও যদি আমরা ওকে ভালো বল সরবরাহ করতে পারি, গোল আসবেই।’

সিঙ্গাপুরের চোখ এখন ঢাকা অভিমুখে। আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। মার্চে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে এবং সিঙ্গাপুর হংকংয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল। তবে সিঙ্গাপুর তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নেপালের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে—যা ছিল এক ধাক্কা।

তবে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়েছে তারা। এখন নতুন করে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। মাঠের প্রতিপক্ষ ছাড়াও তাদের জন্য আরেক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে ঢাকার প্রখর গরম। প্রতিকূল আবহাওয়া আর শক্ত প্রতিপক্ষ—দুটোকেই পেরিয়ে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে সিঙ্গাপুর।

সিঙ্গাপুরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মিশ্র। গত এক বছরে তারা ভিয়েতনামের কাছে দুটি ম্যাচে হেরেছে, থাইল্যান্ডের কাছে ৪-২ ব্যবধানে, আর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। জয় এসেছে তিমোর-লেস্তে, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে গত বছর তারা করেছে ১৪ গোল, খেয়েছে ২৫টি।

ট্যাগস :

হামজাদের থামাতেই বাড়তি কৌশল, সতর্ক সিঙ্গাপুর কোচ

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:২০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
দীর্ঘ ছয় মাসের হতাশা, গোলশূন্যতা আর পরাজয়ের গ্লানি শেষে অবশেষে খানিকটা স্বস্তি ফিরল সিঙ্গাপুর ফুটবল দলে। পরপর ছয় ম্যাচে জয় না পাওয়ার হতাশা নিয়ে যখন ‘দ্য লায়ন্স’রা প্রায় কোণঠাসা, তখন ৫ জুন রাতে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় যেন আশার আলো দেখাল। এই জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, বরং এটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক উপলক্ষ—বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার শেষ প্রস্তুতিও বলা চলে।

সিঙ্গাপুরের এই ‘ফেরা’র গল্পের নায়ক ইখসান ফান্দি। চোটে ভুগছিলেন, মাঠের বাইরেও কাটিয়েছেন বহুদিন। সেই দুঃসময়কে বিদায় করে ফিরেছেন জাতীয় দলে, আর ফিরেই করে ফেললেন জোড়া গোল। বয়স মাত্র ২৬, কিন্তু তার কাঁধেই এখন দলটিকে টেনে তোলার বড় দায়িত্ব।

ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা আর আত্মবিশ্বাস মিশে গেল একসঙ্গে। সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস তাকে উদ্ধৃত করেছে এভাবে, ‘জাতীয় দলে ফিরে আবার গোল করতে পারা দারুণ অনুভূতি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি দলকে জেতাতে পেরেছি।’

এরপর তিনি বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে সতর্ক করে দলকে, ‘যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স চালিয়ে যাই, তাহলে বাংলাদেশ ম্যাচে আমাদের কোনো সুযোগ নেই। এই দু-তিন দিনের মধ্যেই নিজেদের ঝালিয়ে নিতে হবে। উন্নতির বিকল্প নেই।’

ইখসানের পারফরম্যান্সে খুশি দলের জাপানি কোচ সুতোমু ওগুরা, ‘সে শুধু ৬০ মিনিট খেলেছে, কিন্তু দুই ধরনের পরিস্থিতি থেকে গোল করেছে—ওপেন প্লে ও সেট পিস। বাংলাদেশের বিপক্ষেও যদি আমরা ওকে ভালো বল সরবরাহ করতে পারি, গোল আসবেই।’

সিঙ্গাপুরের চোখ এখন ঢাকা অভিমুখে। আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। মার্চে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে এবং সিঙ্গাপুর হংকংয়ের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল। তবে সিঙ্গাপুর তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নেপালের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে—যা ছিল এক ধাক্কা।

তবে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়েছে তারা। এখন নতুন করে জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। মাঠের প্রতিপক্ষ ছাড়াও তাদের জন্য আরেক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে ঢাকার প্রখর গরম। প্রতিকূল আবহাওয়া আর শক্ত প্রতিপক্ষ—দুটোকেই পেরিয়ে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে সিঙ্গাপুর।

সিঙ্গাপুরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মিশ্র। গত এক বছরে তারা ভিয়েতনামের কাছে দুটি ম্যাচে হেরেছে, থাইল্যান্ডের কাছে ৪-২ ব্যবধানে, আর দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। জয় এসেছে তিমোর-লেস্তে, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে গত বছর তারা করেছে ১৪ গোল, খেয়েছে ২৫টি।